শান্তিপুরে পাম্পিং স্টেশনে ভাঙচুর, জল-যন্ত্রণা বহু ওয়ার্ডে, কী জানাল পুরসভা?
এই সময় | ২৪ জুন ২০২৪
নদিয়া জেলার শান্তিপুর পুরসভার পাম্পিং স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য। পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হল পুর নাগরিকদের। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পুরসভার। কারা হঠাৎ পুরসভার পাম্পিং স্টেশনে হামলা চালাল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।শান্তিপুর পুরসভার তৈরি বুস্টিং পাম্পের তালা ভেঙে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ভেঙে ফেলা হয় পাম্পের যন্ত্রাংশ। পাম্পিং স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় জল কষ্টে পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডের মানুষজন। সোমবার সকাল থেকেই সমস্যায় পড়েছেন একাধিক ওয়ার্ডের পুর নাগরিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে নদিয়ার শান্তিপুর বাইগাছি পাড়া এলাকায়। বুস্টিং পাম্পের তালা ভেঙে চেয়ার, পাম্পের যন্ত্রাংশ ভেঙে অকেজো করে ফেলে রেখে চলে যায় কিছু দুষ্কৃতী। যদিও এই পাম্পের ওপর নির্ভরশীল বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। তীব্র গরমে জলকষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন। রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনা সামনে আসার পরই ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটলো তার তদন্ত শুরুকরেছে পুলিশ। পুরসভার পাম্পিং স্টেশনে হঠাৎ কেন ভাঙচুর চালানো হল, এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত সেই ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘মানুষের পরিষেবাই বিঘ্ন ঘটানোর জন্য দুষ্কৃতীরা চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে। পুরসভা এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ঘটনার পেছনে আসল কারণ উদঘাটন হবে।’
পুরসভার চেয়ারম্যান আরও জানান, সাধারণ মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুরসভা সদা তৎপর। পুরসভার পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটানোর জন্যেই কেউ ‘ইচ্ছাকৃত’ভাবে এই কাজ করেছে বলে মনে করছে পুরসভা। পুরসভা এলাকায় যাতে জল সমস্যা না হয়, সেই কারণে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানান পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ।
উল্লেখ্য, শান্তিপুর শহরের মধ্যেই একাধিক জায়গায় পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য কাজ চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। জল পরিষেবা দেওয়া নিয়ে গত এপ্রিল মাসে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বেছে বেছে বেশ কিছু ওয়ার্ডে জল সরবরাহের লাইন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রধান জানান, সব জায়গাতেই ধীরে ধীরে জল সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে।