শিলিগুড়ির পার্কিং সমস্যায় উদ্বিগ্ন, পুরসভাকে অর্থ সাহায্য বিজেপি বিধায়কের
এই সময় | ২৫ জুন ২০২৪
শিলিগুড়ি শহরে পার্কিংয়ের সমস্যা বহুদিনের। রাস্তায় বের হলেই গাড়ি, বাইক কোথায় রাখবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান শহরবাসীরা। পার্কিং সমস্যার জেরে যানজট সমস্যাও শহরে বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার পুরসভাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।শহরের সমস্যা মেটাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। নিজের বিধায়ক তহবিলের টাকায় শহরে বহুতল পার্কিং তৈরি করার জন্য অর্থ অনুদান দেবেন বলে ঘোষণা করলেন। সেই টাকা তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার হাতে তুলে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
সোমবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানে তিনি ঘোষণা করেছেন, শহরে বহুতল পার্কিংয়ের জন্য তিনি তাঁর বিধায়ক তহবিলে যে টাকা খরচ হয়নি, তা পুরসভাকে দিতে চান। এর জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন । এদিন বিধায়ক জানান, তিনি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে এ ব্যাপারে চিঠি লিখছেন। মেয়র আপাতত কলকাতায় রয়েছেন। তিনি শহরে এলেই সেই চিঠি দেবেন। সেখানে ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরসভার সম্মতি রয়েছে কিনা তা জানতে চাইবেন।
বিধায়ক বলেন, ‘গত তিন বছরে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬০-৭০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা সহ আগামীতে যে টাকা পাওয়া সেই টাকা বহুতল পার্কিংয়ের জন্য পুরসভাকে দিতে চাই।’ যদিও, বিধায়ক অভিযোগ করেন বহু কাজ আটকে রাখা হয়েছে। কেন বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকার কাজ আটকে তা জানতে চাইলেও জেলাশাসকের দফতর থেকে তা জানানো হয়নি বলে তাঁর দাবি। শিলিগুড়ির বিধায়কের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘বিষয়টি এখনও জানা নেই। জানার পরই বলব।’
শিলিগুড়িতে বহুতল পার্কিং লট তৈরির পরিকল্পনা অনেক আগেই করেছিল মহাকুমা পরিষদ বোর্ড। এই কাজের জন্য এগ্রি মার্কট প্রকল্পের জায়গায়ও বাছা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে এই জায়গার বদলে মহকুমা পরিষদ ভবনের পাশের ভবনে বহুতল ও পার্কিং লট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট জমির পাশে বিচারকদের বাংলো, এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকের বাংলো রয়েছে। এছাড়া বেশকিছু অফিসও রয়েছে। প্রায় ১৩.৮ কাঠা জমিতে যেখানে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ করে এই পার্কিং লট তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।