• মালদায় সমবায় ভোটে কংগ্রেস-তৃণমূল 'জোট' হারাল বামেদের, চর্চা রাজনৈতিক মহলে
    এই সময় | ২৫ জুন ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে আসন সমঝোতার পথে হেঁটেছিল বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু, সেভাবে কোনও দাগ কাটতে পারেনি তারা। কংগ্রেস একটি আসন পেলেও বামেদের খালি হাতেই ফিরিয়েছে সাধারণ মানুষ। এরপর বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে একাধিক বদল এসেছে। রাজ্যে লোকসভায় ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি।এই পরিস্থিতিতে বাংলায় তৃণমূল এবং কংগ্রেস 'জোট'-এর কামালে হারতে হল সিপিএমকে! কিছুটা অবাক করার মতো হলেও এই ঘটনা ঘটেছে ভূতনির উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম এস.কে.ইউ.এস সমবায় সমিতির নির্বাচনে। রবিবার ছয়টি আসনই দখল করেছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের 'জোট'। তবে আসনগুলিতে 'টাফ ফাইট' দিয়েছে বলে দাবি করেছে বাম নেতা। তবে কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে জোট না করে তৃণমূলের হাত ধরা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে।'

    ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মালদার ভূতনির উত্তরচন্ডিপুর গ্রাম এস.কে.ইউ.এস সমবায় সমিতি। কিন্তু, সেখানে প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় অনুষ্ঠিত হয়নি নির্বাচন। কিন্তু, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল এবং সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেখানে রবিবার ভোট হয়েছে। সেখানে মোট আসন সংখ্যা ছিল ছয়টি। ভোটে অংশ নেন ১৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট ছয়টি আসনে লড়াই করে। বামফ্রন্ট সমর্থিত সমবায় বাঁচাও কমিটির তরফে পাঁচটি আসন এবং নির্দল হিসেবে দুটি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়। এদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সবরটোলা হাই স্কুলে। ভোটার সংখ্যা ছিল ৭১৫ জন। বিকেল পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

    এদিন ভোটগণনা শুরু হয় বিকেলের পর। দেখা যায়, ছয়টি আসনে যৌথভাবে জয়ী হয়েছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। সিপিএম ছিল দ্বিতীয় স্থানে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ মালদাতেও লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে প্রচার করেছে। কিন্তু, সেই জায়গায় সমবায় সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূলের এই জোট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এই প্রসঙ্গে সিটুর জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, 'স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব এই জোটের বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করেনি। তাই আমরা একা জোট টিকিয়ে রাখতে পারিনি।' পাশাপাশি কংগ্রেস সমবায় সমিতিতে দুর্নীতি চালানোর জন্য তৃণমূলের হাত ধরেছে বলে জানান তিনি।

    যদিও তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, 'কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে এই নির্বাচনে আমাদের জয় হয়েছে। এতদিন নির্বাচন হয়নি। ফলে সমবায়ে বহু দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা যুক্ত তাঁদের খুঁজে বার করতে হবে।'
  • Link to this news (এই সময়)