• বাইরের মানুষ আসছেন, টাকা নিয়ে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রাজ্যের আইডেনটিটি বদলে যাচ্ছে, তীব্র ক্ষোভ মমতার
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুরসভাগুলির কাজকর্ম নিয়ে হওয়া বৈঠকে রুদ্রমূর্তি মমতা। তাঁর ক্ষোভের মূল কারণ ঠিকমতো কাজ করছে না পুরসভাগুলি। পাশাপাশি তিনি সরব হয়েছেন জবরদখল নিয়েও। এনিয়ে বলতে গিয়ে তিনি একেবার নাম ধরে রাজ্যের এক মন্ত্রীকে বিঁধেছেন। শুধু তাই নয় তিনি বলছেন জবদখলের ফলে রাজ্যের আইডেনটিটি বদলে যাচ্ছে।

    মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছেন, রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে দেখেছি দখলদারি হচ্ছে। কোথায় টাকা নিয়ে, কোথাও টাকা দিয়ে এসব হচ্ছে। এমনকি একটি গ্রুপ এসব করছে টাকার বিনিময়ে। কিন্তু ওরা বুঝতে পারছে না এতে রাজ্যের আইডেনটিটি নষ্ট হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মমতার আক্রমণের লক্ষ্য সম্ভবত অবাঙালি লোকজন। বিভিন্ন শহরের রাস্তায় তাদের দোকান করতে দেখা যাচ্ছে। জবরদখলের পাশাপাশি তারা ভাগ বসাচ্ছেন এরাজ্যের কাজ কারবারের উপরেও।

    কয়েক দিন আগে মন্ত্রী অফিসারদের বৈঠকেও এনিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে মমতা সরাসরি নিশানা করেন সুজিত বসুকে। এনিয়ে পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে কৈফিয়তও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার নবান্ন সভাঘরে পুরসভা নিয়ে বৈঠকে হাওড়া সম্পর্কে মমতা বলেন, কারও নাম করছি না। একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। বাংলার আইডেনটিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আপনাদের টাকা খাওয়ার জন্য। রাজ্য সরকারের জমি বেচে দেওয়া হচ্ছে।  জায়গা পেলেই লোক বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

    এদিনের বৈঠকে সুজিত বসু, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেবকে জবরদখল নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেক নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সল্টলেকের অবস্থা খুব খারাপ। রাজারহাটের অবস্থা খারাপ। যে যেখানে পারছে টাকা নিয়ে লোক বসিয়ে দিচ্ছে। সল্টলেকে তো সুজিত বোস কমপিটিশন করে লোক বসিয়ে দিচ্ছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কেন কাজ করে না? এরপর কি আমাকে ঝাঁটা হাতে বের হতে হবে? বাইরের লোক এসে এখানে বসে পড়ছে। বাংলার আইডেনটিটি বদলে যাচ্ছে। কোনও ব্যক্তিকে পোষার জন্য এখানে আসিনি। মানুষকে দেখার জন্য এখানে এসেছি। কোন পার্টির এমএলএ দেখার দরকার নেই। প্রশাসনকে বলে দিচ্ছি। যারা লোভ করবে তাদের মুখ লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে বন্ধ করে দিন। টেন্ডার আর লোকালি হবে না। টাকা তোলার লোক আমি চাইছি না। সেবা করার লোক চাইছি। রাস্তা, ফুটপাতে জবরদখল বেড়েই চলেছে। পুরসভাও দেখে না, পুলিশ‌ও দেখে না চোখ দিয়ে। আমি বললে তখন হয়তো কিছুদিনের জন্য দেখে, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

    ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, রাজ্যের জমি কার‌ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কেন্দ্র সরকার তো আমাদেরই টাকা দেয় না তো আমি পাঁচটা রাজ্যকে কী করে টানব। এরপর তো স্টেটটার আইডেন্টিটি‌ই নষ্ট হয়ে যাবে। ‌বাংলায় কথা বলার আর কেউ থাকবে না।

    অর্থের বিনিময়ে বাংলার আইডেন্টিটি যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে। এটা আমার প্রথম ও শেষ হুঁশিয়ারি। কিছু না করেও আমার বদনাম হচ্ছে। বাংলার আইডেন্টিটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)