ঘটনাটি বারুইপুর থানা এলাকার। নির্যাতিতা তরুণী নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। বারুইপুরে মামাবাড়িতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই মদনপুর এলাকায় অভিযুক্তের বাড়ি। পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুণীর সঙ্গে ওই যুবকের আলাপ হয়েছিল ফেসবুকে। কিছু দিন আগে দিদিমার সঙ্গে তরুণী মামাবাড়িতে এসেছিলেন। সেখানেই থাকছিলেন। শুক্রবার রাতে ফোন করে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই মেয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’দিন নিখোঁজ ছিলেন তরুণী। স্থানীয় জলাশয়ে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। পরিবারের তরফে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শুধু ওই যুবক নন, আরও কয়েক জন মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিক এবং আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই যুবক সম্পর্কে এলাকাতেও খুব একটা ভাল ধারণা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় ‘খারাপ ছেলে’ হিসাবেই তিনি পরিচিত। মহিলাদের কটূক্তি থেকে শুরু করে নানা সময়ে নানা অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তরুণী। তার পর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। রাত ১১টায় তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এখনও সেই ফোন খুঁজে পাওয়া যায়নি। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’