এই সমবায় সমিতির অধিকাংশ গ্রাহকই বিশ্বভারতীর কর্মী, শিক্ষক, অধিকারিক। ব্যাঙ্কের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পরিষেবা নিয়ে বিসত্র ক্ষোভ রয়েছে বিশ্বভারতীর অন্দরে। রাজ্যের নিয়মনীতি মেনেই চলতে হয় এই সমবায় সমিতিকে। তবে বিশ্বভারতীর কর্মী, শিক্ষক ও পেনশনভোগীরাই শুধুমাত্র এই সমিতির অংশীদার হতে পারেন। বর্তমানে সমিতির মোট অংশীদারের সংখ্যা ১৫০০-র কিছু বেশি।
গত তিন বছর ধরে এই সমবায়েরনির্বাচন না হওয়ায় অংশীদাররা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বোর্ড অব ডিরেক্টর্স না-থাকায় একক ভাবে কোন সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না সমিতি। এ নিয়ে আগে বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। গত শুক্রবার এই দাবি নিয়েই ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিশ্বভারতীর কর্মীরা। এ দিন একই দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির সামনে পোস্টার হাতে অবস্থানে বিক্ষোভে বসেন বিশ্বভারতীর শতাধিক কর্মী, শিক্ষক। ঘণ্টা দুয়েক চলে পরে সমবায় কর্তৃপক্ষের তরফে দাবিপূরণের আশ্বাস দেওয়ায় হলে বিক্ষোভ অবস্থান তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
অংশীদারদের বক্তব্য, “আমরা চাই অবিলম্বে বোর্ড অব ডিরেক্টর্স নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক এবং অংশীদারদের লভ্যাংশ প্রদান-সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করা হোক।” এ বিষয়ে সমিতির স্পেশাল অফিসার কৌশিক ঘোষ বলেন, “আমরা এ দিন জেলা সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ই-মেলে বোর্ড অব ডিরেক্টর্স নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার চিঠি পেয়েছি। আশা করছি, শীঘ্রই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হবে।”