ওই ফ্ল্যাটের গৃহকর্ত্রী রানু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার রাতে মেয়েকে নিয়ে একটি ঘরে এসি চালিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁর ঘুম ভাঙে। ঘুম থেকে উঠে রানু দেখেন, পাশের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি আর তাঁর মেয়ে ছাড়া ফ্ল্যাটে কেউ থাকেন না। তাই সঙ্গে সঙ্গে লোক ডেকে ঘরের দরজা ভাঙার ব্যবস্থা করেন গৃহকর্ত্রী। কাঠের মিস্ত্রি এসে দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, ওই ঘরের জানালার গ্রিল কাটা। আলমারির লকার ভেঙে মাটিতে পড়ে রয়েছে। ঘরের বাকি জিনিসপত্রও লন্ডভন্ড। এর পর রানু দেখেন, তাঁর ওই ঘর থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র উধাও হয়ে গিয়েছে।
রানুর অনুমান, তাঁদের ঘুমের সুযোগে কেউ বা কারা ঘরে ঢুকে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এই ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন আবাসনের বাকি বাসিন্দারাও। ওই আবাসনের বাসিন্দা অরূপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বাসিন্দারা যদি রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে না পারেন, তাঁদের যদি আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়, তা হলে তা অত্যন্ত লজ্জার। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই হুগলিতে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। দু’দিন আগেই উত্তরপাড়া জে কে স্ট্রিটে একাধিক দোকানের সামনের সিসি ক্যামেরা চুরির ঘটনা ঘটে। অসৎ উদ্দেশ্যে রাস্তার সিসি ক্যামেরা চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার সঙ্গে এই চুরির কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার আগে ১৪ জুন হুগলির ব্যান্ডেলে এক বৃদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। চার ডাকাত মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধার সঙ্গে গল্পগুজব করতে করতে সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেয়।