এলাকাবাসী জানান, সায়নের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই গ্রামের গৃহবধূ বছর কুড়ির পূরবীর। গত ৩০ মে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন সায়ন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পূরবীও। তারপর থেকে সায়ন আর বাড়ি ফেরেননি। গত ৬ জুন সায়নের মা লতা উলুবেড়িয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই দিনই বাগনান থানার পুলিশ কোলাঘাট সেতুর কাছ থেকে উদ্ধার করে সায়নের গাড়িটি। সে দিনই বাগনান ধড়ামান্না গ্রামে রূপনারায়ণ নদ থেকে পূরবীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সুস্থ হয়ে পূরবী নিজের বাড়িতে ফেরার পর সায়নের মা ও পিরপুরের অনেক বাসিন্দা সায়নের খোঁজে সেখানে যান। লতার অভিযোগ, ‘‘আমাদের সকলকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয় পূরবী ও তার বাবা-মা। আমাদের সন্দেহ, ওই তিন জন আমার ছেলেকে অপহরণ করে খুন করেছে।’’ এরপর গত রবিবার পিরপুরে একটি সালিশি সভা বসে। সেখানে পূরবী ও তার বাবা-মাকে নিয়ে আসা হয়। সায়ন কোথায় গেল, এই উত্তর না মেলায় তাদের একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। রাতেই সায়নের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। সোমবার ধৃতদের উলুবেড়িয়া আদালতে পাঠানো হলে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়।