উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় মামলা দায়ের হয় বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। সৌমিত্রের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগও ছিল। সেই মামলাতেই তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। এর পরেই সৌমিত্রকে তলব করেছিল আদালত। অভিযোগ, একাধিক বার তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। বার বার হাজিরা এড়িয়েছেন। আর তা নিয়েই মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। ৯ জুলাই ফের সৌমিত্রকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাজিরা এড়ালে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে এমপি এমএলএ আদালত।
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে সৌমিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে আমি জানি না। আমি এখন দিল্লিতে রয়েছি। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ করব। তবে এই রাজ্যে তৃণমূল না করলে বহু মামলা করা হয়। আমিও ভুক্তভোগী। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুকথা বললে আইনি পদক্ষেপ হয় না। শুধু আমরা পুলিশি পদক্ষেপের বিরোধিতা করলে আমাদের নামে মামলা করা হয়। আমি আইন মেনে চলি। রাজ্যে ফিরে আইন মেনেই যা করার করব।’’