১৭ জুনের ওই দুর্ঘটনায় মারা যান ১০ জন। মনু-সহ এখনও চিকিৎসাধীন পাঁচ জন। সূত্রের দাবি, বড় শারীরিক চোট না থাকলেও, মানসিক অবসাদে থাকা মনুর সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে সোমবার বলেন, “মনু কুমার পুরোপুরি সুস্থ হলে, নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু তা কী ভাবে করা হবে, তা স্পষ্ট নয়।” রেল সূত্রের দাবি, মনু সুস্থ হলে, তাঁকে প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনা সম্পর্কে বয়ান লিখতে বলা হতে পারে। লখনউয়ে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের অফিসে ডেকে পাঠানো হতে পারে। অথবা, কাটিহার ডিভিশনের সদর বা এনজেপিতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সিআরএসের কি ফের এনজেপিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে? সূত্রের দাবি, তিনি নিজেও আসতে পারেন অথবা প্রতিনিধিও পাঠাতে পারেন।
দুর্ঘটনার পর থেকেই দায় আদপে কার, তা নিয়ে রেলের অন্দরে চালকদের একাংশ, সিগন্যাল এবং অপারেশন্স বিভাগগুলির মধ্যে কার্যত ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছে বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে মনুর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।