এ দিন আদালতের নির্দেশ মেনে পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিক, আইনজীবী ও কলকাতা পুলিশের বাহিনী হাজির হয় মাঝেরহাট স্টেশনের সামনের রাস্তায়। পোর্ট ট্রাস্টের আওতাধীন ওই রাস্তার ফুটপাতে ৫০-৬০টি ঝুপড়ি ঘর এবং একাধিক খাবারের দোকান রয়েছে। তিনটি দোকান ভাঙার পরে প্রতিবাদ শুরু করেন ঝুপড়িবাসীরা। ভেঙে দেওয়া একটি চা-ঘুগনির দোকানের মালিক রবীন সাঁতরার অভিযোগ, আগাম না জানিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়ায় কয়েক হাজার টাকার সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। দোকান না থাকলে কী ভাবে সংসার চালাবেন, জানেন না বলে দাবি করেন রবীন।
এর পরে আরও একটি ঘর ভাঙার তোড়জোড় শুরু হলে অশান্তি বাড়ে। ঝুপড়িবাসীদের দাবি, ওই ঘরে এলাকার শিশুদের পড়াশোনা করানো হয়। সেটি ভাঙলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও তা মানতে রাজি হননি পোর্ট ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা। পুলিশ দফায় দফায় বোঝানোর চেষ্টা করলেও ঝুপড়িবাসীদের সরানো যায়নি। ওই ঘরের সামনে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মহিলারাও দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদের কাজ। পরে অনেক বোঝানোয় ঘরের উপরের ছাউনি ঝুপড়িবাসীরা সরিয়ে নেন। তার পরে একটি ঘর ভাঙা হয়। যদিও তার পরে পোর্ট ট্রাস্টের আইনজীবীকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে।
ঝুপড়িবাসীদের অভিযোগ, আগাম নোটিস দেওয়া হয়নি। এ ভাবে উচ্ছেদ হলে তাঁরা কোথায় যাবেন? পোর্ট ট্রাস্টের আইনজীবী সচ্চিদানন্দ পাণ্ডের দাবি, আদালতের নির্দেশে এই কাজ করা হলেও পুলিশের পর্যাপ্ত সহযোগিতা মেলেনি। তাঁরা আদালতে তা জানাবেন। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।