এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ গোরাচাঁদ রোডের ওই তেতলা বাড়িটির নীচের তলায়সিঁড়ির নীচে মিটার বক্স থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়েরা। দ্রুত তাঁরা দমকলে খবর দেন। খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন বাড়তে থাকে।এক সময়ে ধোঁয়ার ভরে যায় বাড়িটির নীচের তলা। ওই বাড়িরই তেতলায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিস রয়েছে। সেখানে কয়েক জন শিশুও থাকে। তিনটি শিশু-সহ চারমহিলা তেতলায় আটকে পড়েন।
তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়েরাই প্রথমে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে গোটা বাড়িতে একটি মাত্রসিঁড়ি থাকায় সেই পথ দিয়ে ওই মহিলা ও শিশুদের নীচে নামানো যায়নি। পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুননেভানোর পাশাপাশি প্রত্যেককে নামিয়ে নিয়ে আসে।
আগুনে বাড়ির উপরের তলায় আটকে পড়া রুকসানা ইকবান বলেন, ‘‘নীচে যে আগুন লেগেছে, প্রথমেবুঝতেই পারিনি। বাইরে থেকে সকলে চিৎকার করছে দেখে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম। নীচের দিকে আসতেই দেখি, চার দিকেশুধু ধোঁয়া। আর নামতে পারিনি। এর পরে উপরে উঠে চিৎকার করতে থাকি।’’
জানা গিয়েছে, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে এই বাড়িটিতে২০টিরও বেশি শিশু থাকে। এ দিন তাদের অধিকাংশই স্কুলে চলে গিয়েছিল। বেলার দিকে আগুন লাগায় বড় বিপদ থেকেরক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন আশপাশের বাসিন্দারা। আগুন লাগার ঘটনার তদন্তশুরু করেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। গোটা বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে নিশ্চিত হতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হবে।’’