আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা এখন বাঙালির ১২ মাসের ১৪তম পার্বণ হিসেবে চিহ্নিত। আর সেই পার্বণ সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে একঝাঁক তরুণ তুর্কি। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে, বইমেলাকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই ডিজিটাল মাধ্যম। সেই সম্প্রচারের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন বইমেলার এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল পার্টনার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা। গোটা মেলা প্রাঙ্গণের সমস্ত খুঁটিনাটি ওয়েবসাইট এবং গিল্ডের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। কেউ তুলে ধরেন বইয়ের সম্ভার, কেউ প্রিয় লেখকের বক্তব্য। কেউ দৌড়ে বেড়ান খবর সংগ্রহে, কেউ একটানা বসে এডিট করেন ভিডিও। এই পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে সোমবার তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। এস এন ইউর সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, কোষাধক্ষ্য তাপস সাহা, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিইও শঙ্কু বোস, ইউনিভার্সিটির ইন্ড্রাস্ট্রি রিলেশনস-এর ডিরেক্টর ইনা বোস, মিনাল পারিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পড়ুয়ারা।
ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এসএনইউ যেভাবে বইমেলার সঙ্গে সহযোগিতা করেছে, তাতে অন্য বিকল্প ভাবছে না গিল্ড। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে বছরের পর বছর। পড়ুয়াদের অসম্ভব ডেডিকেশন এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং বইমেলার সম্পদ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শঙ্কু বোস বলেন, 'বইমেলার আগে এবং পরে নানা বিষয়ে পড়ুয়ারা যেভাবে সফল, রীতিমত 'প্রফেশনাল' মনে হয় তাদের।' অধ্যাপক মিনাল পারিক বলেন, এটাই প্রথম যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বিভাগ বইমেলার ডিজিটাল সম্প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে। এই সুযোগের জন্য তিনি গিল্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ধন্যবাদ জানিয়েছেন এসএনইউ-র আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীকে। একজোট হয়ে, দিন-রাত যে কাজ পড়ুয়ারা করেছিলেন, সেই কাজের শংসাপত্র পেয়ে উচ্ছ্বাস তাঁদের মধ্যে।