কুলতলির বাসিন্দা পল্লবী মন্ডল ৷ বাবা বুদ্ধিশ্বর মন্ডল একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন৷ তবে তিনি যে আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়৷ সরকারি স্কলারশিপে নার্সিং পড়ে সংসারের হাল ফেরাতে চায় পল্লবী ৷ ছোটবেলা থেকেই পল্লবীর পড়াশোনায় ঝোঁক বলে জানা গিয়েছে ৷ তাকে কখনও পড়তে বসার কথা বলতে হয়নি ৷
মা টুকটুকি মন্ডল জানান, স্কুল থেকে এসে তাকে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বিড়ি বাঁধার কাজে সাহায্য করত পল্লবী ৷ মাসি মাধবী নস্কর জানান জানান পল্লবীকে নিয়ে তারা গর্বিত ৷ বাবা বুদ্ধিশ্বর মন্ডলের বক্তব্য, অভাবের কারণে বেশীদুর পড়াশুনা করতে পারেননি ৷ ৬ মাসের পল্লবীকে রেখে তাকে শহরে আসতে হয়েছিল কাজে ৷ তখন মাসে ৮০০ টাকা পেতেন, আজ ওভারটাইম করে নিজের আয় আট হাজার টাকায় নিয়ে গিয়েছেন ৷
যদিও তার বক্তব্য, মাঝেমধ্যেই তার কাজ থাকে না ৷ এছাড়া পল্লবীর পড়াশুনার জন্য নানান সময় তাকে লোনও নিতে হয়েছে ৷ কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাইস্কুলের ছাত্রী পল্লবী ৷ এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল জানান তার বিশ্বাস আগামী দিনে স্কুলের নাম উজ্জ্বল করবে পল্লবী৷