• গঙ্গাসাগর সেতু তৈরিতে তৎপর রাজ্য, জমি দিতে এগিয়ে এলেন শতাধিক বাসিন্দা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জুন ২০২৪
  • মুড়িগঙ্গার উপর গঙ্গাসাগর সেতু তৈরি করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই এই সেতু নির্মাণের কাজ হবে। এর ফলে তীর্থযাত্রীদের যাত্রা আরও সহজ হবে। লোকসভা ভোট মিটতেই গঙ্গাসাগর সেতু তৈরিতে তৎপরতা শুরু করল রাজ্য সরকার। এই সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্য সরকার। তাতে ১০০-এর বেশি বাসিন্দা জমি দিতে রাজি হয়েছেন।


    প্রস্তাবিত গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য কাকদ্বীপ এবং সাগরের মোট ১২ একর জমির প্রয়োজন। এর মধ্যে কিছু জমি সরকারি মালিকানাধীন হলেও অধিকাংশ জমিই হল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। জমির মালিকদের জানানো হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তারপরেই ১০০- এর বেশি মালিক জমি দিতে সম্মত হয়েছেন। ইতিমধ্যে এই জমি বাবদ কত খরচ হতে পারে তার হিসেব সেরে ফেলেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে এই সব জমির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে যতটা জমি প্রয়োজন হবে সেই অনুযায়ী জমিদারদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। 

    জানা যাচ্ছে, সোমবার জমিদারদের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। কচুবেড়িয়া এবং কালীনগরে সাড়ে ৪ একর জমির প্রয়োজন হবে। সেই জমির অধিকাংশই ফাঁকা রয়েছে। তবে সেখানে দুটি  জমিতে পানের বরজ রয়েছে। সেগুলি অন্যত্র সরানো হবে এবং একজনের বাড়ি ভাঙা পড়বে। ওই অঞ্চলে ৩৫ জন বাসিন্দা  জমি দিতে রাজি হয়েছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য,  গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য সেতু তৈরি হলে তারা খুবই উপকৃত হবেন। তাই তারা জমি দেওয়ায় সম্মত হয়েছেন। 

    সূত্রের খবর, মালিকরা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিলেই সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করে দেবে। সাগরে ৪ একর জমির দাম পড়বে ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, কাকদ্বীপ লট ৮ আশ্রম মোড়ে ৭.৭৫ একর জমির দাম পড়বে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। সেখানকার ৮০ থেকে ৯০ জন বাসিন্দা জমি দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। 

    উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪.৭৬ কিলোমিটার। যেহেতু মুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জাহাজ চলাচল করে তাই নদীর জলস্তর থেকে ১২ থেকে ১৩ ফুট উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করা হবে। আগে এই সেতুর নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছিল ১২০০ কোটি টাকা। তবে বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, এর খরচ হবে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা।  
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)