গত শনিবার দুপুরে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখানে বসতেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু। হামলার সময় কার্যালয়ে তিনি ছিলেন না। তবে দলের তিন জন সদস্য সেই হামলায় আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছ। কিন্তু হামলার পর থেকে তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কাজকর্ম বন্ধ ছিল। পিন্টু জানান, তাঁর প্রাণসংশয় ছিল। তাঁকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে ওই আক্রমণ হয়েছিল। তার পর থেকে আর কার্যালয়ে না-গিয়ে বাড়ি থেকেই কাজ করছিলেন কাউন্সিলর। দলের কাজকর্ম থেকে এলাকাবাসীর সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর করেন বাড়িতে বসেই। মঙ্গলবার তিনি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ থেকে ফিরেছেন অফিসে।
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরের দিকে গড়িয়া এলাকা থেকে মোট পাঁচ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। এ নিয়ে হামলায় ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল নয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, যাঁদের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের মধ্যে চার জনের নাম এফআইআরে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁদের সন্ধানে ছিল পুলিশ। কয়েক দিন গা- ঢাকা দিয়ে থাকলেও অবশেষে তাঁদের সন্ধান মিলেছে। ধৃতদের মঙ্গলবারই বারুইপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কার্যালয়ে বসে তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু জানান, আবার সেখান থেকেই এক নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ করবেন তিনি।