পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার বুকে একটি নামী কোচিং সেন্টারের মালিক সৌরীশ ঘোষ। এক অভিভাবকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় কলকাতার ওই কোচিং সেন্টারের মালিককে। কলকাতার বাসিন্দা সৌরীশ এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারীকে টোপ দেওয়া হয়েছিল তাঁর মেয়েকে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন পাইয়ে দেওয়ার। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়। সেই ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন মেয়েকে ভুল পথে ডাক্তার বানানোর স্বপ্নে মশগুল বাবা।
পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, সৌরীশ নামে ওই ব্যক্তির কথা মতো একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। তা ছাড়াও নগদ আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সৌরীশ কথা দেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মেয়েকে পড়ার সুযোগ করে দেবেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাঁকে কিছু ভুয়ো নথিপত্রও পাঠানো হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়, অভিযোগকারীর মেয়ের নাম রাজ্যের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী বুঝতে পারেন তিনি ভুয়ো চক্রের ফাঁদে পা দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি শেক্সপিয়র সরণি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সৌরীশকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁকে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।