হাই কোর্টের নির্দেশ, কত ক্ষণ কর্মসূচি করতে চান শুভেন্দু অধিকারী তা আদালতকে জানাতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ঘটনাচক্রে, গত বছরের ৫ থেকে ১০ অক্টোবর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন। আদালতে সেই কর্মসূচির কথাই বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি মাসে লোকসভা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের কাছে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ ওই অনুমতি না দেওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি সিংহ রাজভবনের পরিবর্তে বিকল্প জায়গার নাম দিতে বলেন। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর আইনজীবী জানান, রাজ্য পুলিশের ডিজির অফিসের সামনে ধর্না দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। ভবানীভবন ও নবান্ন এই দু’টি জায়গায় ডিজির অফিস রয়েছে। যে কোনও একটি জায়গায় শুভেন্দু অনুমতি চান।
কিন্তু তাতেও আপত্তি জানান রাজ্যের আইনজীবী। শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, রাজভবনের অদূরে শুভেন্দু যেখানে ধর্নায় বসার আর্জি জানিয়েছিলেন, গত অক্টোবর মাসে সেখানেই ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। এর পর তৃণমূলের অক্টোবরের কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি সিংহের মন্তব্য, ‘‘রাজভবনের সামনে কেউ পুলিশ নিয়ে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন। তার পরেও পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়নি। ওই একই জায়গায় অন্যেরা কর্মসূচি করতে গেলে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একটির ক্ষেত্রে আপনারা কি ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনও পদক্ষেপ করেননি?’’
রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সিংহ বুধবার বলেন, ‘‘রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে ধর্না দিলেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না? এর পরে ওই জায়গায় অন্য কেউ কর্মসূচি করতে চাইবেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যের দায়িত্ব। রাজ্য তা এড়িয়ে যেতে পারে না। আপনাদের এই পদক্ষেপ কাউকে রক্ষা করতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে।’’ রাজ্যকে হাই কোর্টের নির্দেশ, রাজভবনের কতটা এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা রয়েছে। উত্তর দিকের গেট থেকে ১০ মিটার দূরে ওই ধর্না কর্মসূচি করা যাবে কি না তা আদালতকে জানাতে হবে।