• মমতার এক ধমকেই নিভে গেল নবান্নের করিডরের লাইট, এসি চালালে বকবে না তো কেউ!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুন ২০২৪
  • মুখ্য়মন্ত্রীর এক ধমকে নবান্নের করিডরের আলোও নিভে গেল। মানে বিদ্যুতের অপচয় রুখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই দেখা যায় নবান্নের একাধিক তলায় জ্বলছে না করিডরের লাইট। মুখ্য়মন্ত্রী সোমবারের মিটিংয়ে একেবারে ধরে ধরে একাধিক ভুল ত্রুটি সম্পর্কে উল্লেখ করেন। আলো, ফ্যান এসি চালিয়ে সরকারি কর্মীরা চলে যান বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর তাতেই একেবারে ওষুধের মতো কাজ হল। 

    মঙ্গলবার নবান্নের ১ তলা থেকে ১২ তলা পর্যন্ত করিডরের অধিকাংশ লাইটই অফ করা ছিল। 

    সোমবার মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন আলো জ্বলতেই থাকে, কেউ বন্ধ করে না। এরপরই কার্যত হুঁশ ফেরে আধিকারিকরদের। বাস্তবিকই সেই যে সকাল থেকে নবান্নের বিভিন্ন অংশে আলো জ্বলতে থাকে সেটা যেন বন্ধই হয় না। কিন্তু এই যে বিপুল বিদ্যুৎ বিলের বোঝা সেটা তো সরকারের কোষাগার থেকেই যায়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এসি যেন ২৫এর নীচে না যায়। সেই অনুসারেই যতটা সম্ভব বিল বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন কর্মী আধিকারিকরা। বার বার চেক করছেন কোথাও আলো অপ্রয়োজনে জ্বলছে না তো!

    এদিকে বহু মানুষ কাজেকর্মে নবান্নে আসেন। তাঁরা এসে দেখেন যে বিভিন্ন জায়গায় অপ্রয়োজনে লাইট জ্বলছে। ফ্যান চলছে। কেউ নেই অথচ বনবন করে একের পর এক ফ্য়ান ঘুরছে।  ঘোরাফেরা করছেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু ফ্যান বন্ধ করার কথা মাথায় নেই কারোর। কিন্তু এবার মুখ্য়মন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন এই বিদ্যুৎ অপচয়ের প্রসঙ্গ। তবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। 

    সাধারণ মানুষের দাবি, বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় দিনের বেলাতেও রাস্তার লাইট জ্বলছে। কেউ নিভিয়ে দিচ্ছে না। আবার সরকারি অফিস একেবারে এসিতে ছয়লাপ। ফাঁকা ঘরে চলছে ফ্য়ান। কারোর বলার কিছু নেই। কিন্তু এবার খোদ মুখ্য়মন্ত্রী এনিয়ে ধমক দিতেই কর্মী, আধিকারিকদের একাংশের মধ্য়ে এনিয়ে নতুন করে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। 

    এমনকী সূত্রের খবর, কিছু অফিসে এদিন এসি চালাতেও দ্বিধাবোধ করেন কর্মীরা। যেখানে দুটো এসি একসঙ্গে চলত সেখানে একটা এসি দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। এসি চালালে কেউ যদি বকে তা নিয়ে কানাঘুষো চলছে সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্য়ে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)