• দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টির ঘাটতি, বুধে প্রায় সমস্ত জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা
    এই সময় | ২৬ জুন ২০২৪
  • ঝেঁপে বৃষ্টির অপেক্ষায় দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। কিন্তু কোথায় কী! বৃষ্টির সেভাবে দেখাই নেই শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়। তবু কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা এখনও পর্যন্ত পায়নি দক্ষিণবঙ্গ। বিচ্ছিন্ন ভাবে পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলা গত ৫ দিনে কিছুটা বেশি বৃষ্টি পেলেও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বুকে সেভাবে নেমে আসেনি স্বস্তির বারিধারা। পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে ৭২ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি থাকবে। অন্যদিকে জুন মাসে উত্তরবঙ্গ ৬৪ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি পেয়েছে।বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেড অর্থাৎ জেলাপিছু প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকাজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। বৃষ্টিপাতের সময় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। বিশেষত উপকূল এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ তুলনামূলক বেশি থাকবে। শুক্রবার থেকে অনেকটা বেশি বৃষ্টি পাবে দক্ষিণবঙ্গ। তারপর শনিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভালোই বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। অর্থাৎ একটানা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। কখনও মাঝারি, কখনও আবার ভারী বৃষ্টির জেরে অনেকটাই কমতে পারে তাপমাত্রাও।

    এদিকে শহর কলকাতায় সকালের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে পারে মেঘের আনাগোনা। তবে এদিনও কলকাতার কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে আশা অনুযায়ী বর্ষণের সম্ভাবনা কম। শুক্রবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। সপ্তাহান্তে শহর কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাই থাকছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এদিন কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৭ ডিগ্রি বেশি। আবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

    এদিকে উত্তরে চলছে প্রবল বৃষ্টি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারাতে ২১৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বারোভিসাতে হয়েছে ১৭৯.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, এবং জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৬৬.৫ মিলিমিটার। বুধবারও একইরকম ভাবে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হতে পারে উত্তরবঙ্গের জনজীবন। বিশেষত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় এদিন ভারী থেকে অতিভারী এবং কোনও কোনও এলাকায় অতি প্রবল (প্রায় ২০০ মিলিমিটার) বৃষ্টির সতর্কতা জারি থাকছে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে উত্তরে বৃষ্টির প্রাবল্য কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পং ও নিচের দিকের জেলা মালদা এবং দুই দিনাজপুরে গোটা সপ্তাহ ধরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)