এই সময়, কালনা: বেড সংখ্যা যা তার প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকছেন ওয়ার্ডে। ফলে একই বেডে দু'জন রোগীর পাশাপাশি মেঝেতে ফ্লোর ম্যাট্রেসেও চিকিৎসা চলছে রোগীর। এ ছবি কালনা মহকুমা হাসপাতালের মেল ও ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের। বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই এমনটা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।কালনা মহকুমা হাসপাতালে যা রোগীর চাপ তাতে মেডিসিন বিভাগে আরও বেড সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠছে। শীঘ্রই একটি ৩০ বেডের ফিভার ওয়ার্ড খুলে এই দুই ওয়ার্ডের উপর চাপ কমানোর কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার। শুধু কালনা মহকুমাই নয়, পূর্ব বর্ধমান জেলার কিছু অংশ ছাড়া লাগোয়া হুগলি ও নদিয়ার কিছু এলাকার মানুষও কালনা মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেল ও মেডিসিন ওয়ার্ডের অনুমোদিত বেড ১২০টি। তার বাইরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও ৩০টি বেড বাড়িয়েছেন। তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার দুই ওয়ার্ড মিলিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০৫। ফলে কোথাও একটি বেডের মধ্যে যেমন দু'জন রোগীকে রাখা হয়েছে তেমনই দু'টি বেড জোড়া করে তিন জন বা চার জন রোগীও রাখা হচ্ছে।
আবার মেঝেতেও ফ্লোর ম্যাট্রেসে জায়গা দেওয়া হয়েছে রোগীদের। মেঝেতে থাকা পেশেন্টদের হাঁটু মুড়েই দেখছেন ডাক্তাররা। অসুবিধায় পড়ছেন সিস্টাররাও। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি শরৎ মণ্ডল বলেন, 'আমার বেডেই আর একজন চিকিৎসা পাচ্ছেন। বিষ খেয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনি। খুবই অস্বস্তি হচ্ছে।'
আর এক রোগী অনিমেষ সিংয়ের বক্তব্য, 'একটি বেডে একজন রোগীই ঠিকমতো থাকতে পারেন না। সেখানে দু'জন রাখা হচ্ছে। সংক্রামক রোগ নিয়ে যাঁরা ভর্তি তাঁরা পাশে থাকার ফলে আতঙ্কও হচ্ছে।' হাসপাতালের সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহে সুপারস্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ে একটি ফিভার ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। জ্বরের রোগীরা সেখানে ভর্তি হলে এই দুই ওয়ার্ডে রোগীর চাপ কিছুটা কমবে বলে তাঁর আশা।