• জমির তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে আট দফা নির্দেশিকা জারি নবান্নের
    এই সময় | ২৬ জুন ২০২৪
  • সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়

    রাজ্যের সরকারি জমির তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে গুগল ফর্ম ব্যবহার করবে নবান্ন। জমি জবরদখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরে নবান্ন এবিষয়ে জেলাগুলিকে আট দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। প্রতিটি নির্দেশ মেনে যথাযথ তথ্য গুগল ফর্মে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, কত সরকারি জমি রয়েছে এবং খাস জমির পরিমাণ কত ব্লক ভিত্তিক তার রিপোর্ট তৈরি করতে।ফর্মে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের জমি কত রয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। বলা হয়েছে, প্রতিটি জমিতে গিয়ে নিজের চোখে দেখে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট তৈরি করতে হবে আধিকারিকদের। জমির নথি পাওয়া গেলে তা উল্লেখ করতে হবে ফর্মে। জানাতে হবে ওই জমি জবরদখল মুক্ত কি না, আদালতে কোনও মামলা রয়েছে কিনা, তাও। সে সব তথ্য সরকারি জমির তথ্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে যথাযথ ভূমিকা নেবে।

    ইতিমধ্যেই ভূমি সংস্কার ও রাজস্ব দপ্তর জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, সরকারি জমির বর্তমান অবস্থান লগবুক তৈরি করে তাতে উল্লেখ করতে। এমনকী, সরকারি জমি, জলাশয়ের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবিও লগবুকে রাখতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠলে জবাব মেলে লগবুক থেকেই। পাশাপাশি সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড বসিয়ে বড় বড় হরফে লিখে দিতে হবে ‘এই জমির মালিক রাজ্য সরকার’।

    যাতে তা সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। কেউ সেই জমি দখল বা অপব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যায়।

    নবান্নে প্রতিদিনই জমি নিয়ে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়ে। জলাশয়,পুকুর ভরাট থেকে বেআইনিভাবে জমির চরিত্র বদল, বেআইনি বালি খাদানের অভিযোগও আসে। সবক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় ওঠে ভূমি সংস্কার ও রাজস্ব দপ্তর।

    দপ্তরের সচিব জেলাগুলিকে জানিয়েছেন, ল্যান্ড রেকর্ড আপডেট হচ্ছে না। বহু জমি আছে যার কোনও রেকর্ড নেই। এরই সুযোগ নিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। এজন্য আধিকারিকদের সরেজমিনে তদন্ত করে জমি কার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা খতিয়ে দেখে রেকর্ড আপডেট করতে হবে। এতদিন কোনও কিছুই কার্যকর হয়নি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তায় এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)