চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই মহিলার বাজারের ব্যাগ থেকে শিশু উদ্ধারের অভিযোগ। অবশেষে যাত্রীদের তৎপরতায় বিরাটি স্টেশনে নামানো হলো শিশু সহ ওই মহিলা। আর তারপরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা স্টেশন চত্বরে। একইসঙ্গে নতুন করে মানুষের মধ্যে ছড়াল আতঙ্ক।বুধবার দত্তপুকুর থেকে শিয়ালদাগামী ট্রেনের মহিলা কামরায় এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে শিশুটিকে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সহযাত্রীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওই মহিলার সঙ্গে একটি বাজারের ব্যাগ ছিল। সেই বাজারের ব্যাগের মধ্যেই কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল আনুমানিক ১ বছর বয়সের একটি শিশু। ভ্যাপসা গরমে একসময় শিশুটি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেন। কিন্তু নির্বিকার বসে থাকে ওই মহিলা। এরপর বাজারের ব্যাগের মধ্যে শিশুটিকে দেখেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চলন্ত ট্রেনে। বিরাটি স্টেশনে ট্রেনটি ঢুকলে যাত্রীরাই মহিলাকে বাচ্চা সহ জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় বেশকিছুক্ষণ ওই মহিলার সঙ্গে যাত্রীদের ধস্তাধস্তি চলে। এমনকী ওই মহিলা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। আপাতত মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা স্টেশন চত্বরে। আগুনের মতো ছড়িয়ে পর শিশু উদ্ধারের খবর। আর খবর পাওয়া মাত্রই স্টেশনে ভিড় করে উৎসাহী জনতা। যার জেরে ব্যাপক ভিড় হয়ে যায় প্ল্যাটফর্মে। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বারাসতের কাজিপাড়ায় এক নাবালকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরেই বারাসত, মধ্যমগ্রাম সহ উত্তর ২৩ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ছড়ায় শিশুচুরির 'গুজব'। যার জেরে শিশুচোর সন্দেহে একাধিক জায়গায় গণপ্রহারের ঘটনাও ঘটে যায়। যদিও অবশেষে গোটা বিষয়ের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, নিজের জেঠুর হাতেই খুন হয়ে হয়েছে ওই নাবালককে। আর অপরাধের পর তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে ওই ব্যক্তিই এই শিশুচুরির গুজব ছড়ায় গোটা এলাকায়। গোটা বিষয়টিই ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই জানিয়ে দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের সেই বক্তব্যের পর ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মহিলার ব্যাগ থেকে পাওয়া গেল শিশু। সেক্ষেত্রে পুলিশের বক্তব্য নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।