দত্তপুকুর থেকে শিয়ালদহগামী ওই ট্রেনের যাত্রীদের দাবি, অভিযুক্ত ট্রেনের মহিলা কামরায় উঠেছিলেন একটি ব্যাগ হাতে। সঙ্গে ছিল একটি বাজারের ব্যাগ। ট্রেন চলতে শুরু করার কিছু ক্ষণ পর কয়েক জন যাত্রী দেখেন, বাজারের ব্যাগের মধ্যেই কাপড় দিয়ে ঢাকা রয়েছে বছরখানেকের একটি শিশু। এক সময়ে শিশুটি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। এর পরেই মহিলা কামরার অন্য যাত্রীরা সরব হন। ট্রেন বিরাটি স্টেশনে ঢুকলে অভিযুক্ত মহিলা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় সহযাত্রীদের সঙ্গে ওই মহিলার ধস্তাধস্তি হয়। এর পরেই অভিযুক্ত এবং শিশুটিকে জিআরপির হাতে তুলে দেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বিরাটি স্টেশনে। যাত্রীরা স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় রেলপুলিশকে। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশও। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই মহিলা কোথা থেকে এই শিশুটিকে নিয়ে আসলেন এবং কোথায় যাচ্ছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে রেলপুলিশ সূত্রে খবর।
ট্রেনের এক যাত্রী আরসান আলি মোল্লার কথায়, ‘‘বাচ্চাটি ব্যাগের মধ্যে ছিল। বাচ্চাটি কেঁদে ওঠার পর মহিলা কামরার বাকি যাত্রীরা ওকে চেপে ধরে। বিরাটি স্টেশনে নেমে ওকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদেই আমরা ট্রেন অবরোধ করি। পরে তুলে নেওয়া হয়।’’
উল্লেখ্য, ট্রেনের মধ্যে ব্যাগ থেকে বাচ্চা উদ্ধার হওয়ায়, জেলা জুড়ে বাচ্চা চুরি হওয়ার যে গুজব চলছে, তা সত্যি বলেই ধরে নিচ্ছেন অনেকে। যাত্রীদের দাবি, প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণেই এমনটা ঘটছে।