প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী হাইওয়ের পাশে নিউ বামনঘাটা এলাকায় হাদিয়া মৌজায় ৯৫২/৯৯৩ নম্বর প্লটে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বর্গফুটের একটি ভবন তৈরি করে কৃষি বিপণন ও উদ্যান পালন দফতর। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করার কথা ছিল। অভিযোগ, ওয়েটল্যান্ড অথরিটির ওই জমি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বাম আমলে ওই ইউনিট করার কথা থাকলেও নানা জটিলতা ও দলীয় কোন্দলের কারণে কাজই শুরু করা যায়নি। বহু বছর ধরে খালি পড়েছিল ভবনটি। বিভিন্ন সময়ে সেখানে নানা অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ভবনের ৪০০ বর্গফুট জায়গা জবরদখল করে গড়ে তোলা হয় একটি আশ্রম। সেখানেই এক গুরুদেব তাঁর কয়েক জন শিষ্যকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন।
গত ১১ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে ভাঙড়ের ওই সরকারি ভবন জবরদখল করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ১৩ জুন ভাঙড় ২ বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই এলাকায় গিয়ে আশ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এ দিন বিডিও, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার ওসি, বিএলআরও, কেএমডিএ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের আধিকারিকেরা ওই এলাকায় গিয়ে ভবন খালি করে দেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ভবন সংস্কার করে সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা হবে। পুরো কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে কেএমডিএকে।
ওই আশ্রম কমিটির সদস্য তথা এলাকার তৃণমূল নেতা প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘এটা ভাল উদ্যোগ। তবে ওই এলাকায় ৪১ বিঘা সরকারি খাস জমি রয়েছে। ওই সমস্ত জমির অনেকটাই দখল হয়ে গিয়েছে। সেগুলিও সরকারের পক্ষ থেকে ফেরত নেওয়া দরকার।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলার কোথায় কোথায় সরকারি জমি জবরদখল হয়েছে, তা চিহ্নিতকরণ করে সমস্ত জমি দখলমুক্ত করা হবে।’’