এ দিন সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ লাহুল জেলার গুপ্ত পর্বতে সফল আরোহণ করে পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদারের নেতৃত্বাধীন দলটি। সেই দলে ছিলেন সপ্তশৃঙ্গজয়ী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, নৈতিক নস্কর, দেবাশিস মজুমদার, রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী, উদ্দীপন হালদার, তুহিন ভট্টাচার্য, নন্দেশ কালিমানি এবং দীপশ্রী পাল। ছিলেন চার শেরপাও। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ সামিট ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করে, পাহাড়ের পশ্চিম দিকের দেওয়াল বেয়ে শীর্ষে পৌঁছন সত্যরূপেরা। এর পরে এ দিন ক্যাম্প ২-তে নেমে এসেছেন তাঁরা।
তবে মানচিত্রে বর্ণিত গুপ্ত পর্বতের উচ্চতার সঙ্গে আরোহীদের জিপিএস যন্ত্রের রিডিংয়ের অল্প ফারাক দেখা গিয়েছে। দলনেতার স্যাটেলাইট মেসেজ— ‘গুপ্ত পর্বতের চারটে মাথা। ম্যাপে দেখিয়েছে যে, তার মধ্যে বাঁ দিকেরটাই উচ্চতম। বাস্তবেও সেটা মিলেছে। তবে উচ্চতা মেলেনি। বিভিন্ন ম্যাপে এর উচ্চতা ৬১৫৯ মিটার লেখা হলেও আমাদের রিডিং এসেছে ৫৯৮৮ মিটার।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪৩ বছর বাদে গত বছর কাশ্মীরের ব্রহ্মা শৃঙ্গে প্রথম ভারতীয় হিসাবে আরোহণ করে ইতিহাস তৈরি করে রুদ্রপ্রসাদদের এই দলটিই। এ বছর তাঁরা নজর ঘোরান হিমাচলের গুপ্ত পর্বত ও শিকর বেহ্ (৬২০০ মিটার) শৃঙ্গের দিকে। গত ৩ জুন যাত্রা শুরু হয়। রাহু-কেতু হিমবাহের উপরে ক্যাম্প ১ তৈরির পরে শিকর বেহ্ শৃঙ্গের রুট খোলার কাজ শুরু হয়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় বার বার বাধা পাচ্ছিল অভিযান। এর মধ্যে অভিযানের প্রথম লক্ষ্য শিকর বেহে্র গা বেয়ে তুষারধস নেমে আসায় অভিযাত্রীদের দড়ি, পিটন-সহ পর্বতারোহণের বহু যন্ত্রপাতি হারিয়ে যায়। তবে কেউ আহত হননি। এর পরে শেরপারা আর সেই বিপজ্জনক পথে এগোনোর ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই টানা পাঁচ দিন ধরে তুষারপাতে ক্যাম্প ১-এই আটকে থাকা অভিযাত্রীরা এর পরে ‘লুকিয়ে থাকা’ গুপ্ত পর্বতের দিকে মনোনিবেশ করেন। এ দিন ভাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়েই সামিট ক্যাম্প থেকে শীর্ষের দিকে এগোয় দলটি।