ঘটনার দিন রাত ৯টা নাগাদ আগুন লেগে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই জনপ্রিয় বনবাংলোটি। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যটন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘হলং বাংলোর সঙ্গে বহু স্মৃতি, ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। আগুনে ঝলসে যাওয়া বাংলোটি নতুন করে তৈরি হবে ঠিকই। তবে তাতে পুরনো আদল, নকশা বা চেহারা যাতে একই থাকে তা সকলেই চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা সে দাবিই জানিয়েছি।’’
কয়েক মাস পরেই পুজোর পর্যটন মরসুম শুরু। তবে এ বার আর পুজোর আগে হলং নতুন বাংলো পাবে না বলেই ধরা নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এর জেরে, হলংকে ঘিরে পর্যটনের কিছুটা ক্ষতি হবে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, জলদাপাড়ায় আসা মানেই হলং বাংলোর কথা প্রথমে মনে আসে। অনেক উৎসাহী পর্যটক হলং বাংলোয় না থাকলেও, একটি বার দেখতেও আসেন কৌতূহল মেটাতে। তাই দ্রুত নতুন বাংলো তৈরির কাজ শুরু করা জরুরি।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে পর্যটন সংগঠনটির তরফে একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সেখানে ইতিহাসবিদ, পরিবেশবিদ, ন্যাচারাল হেরিটেজ সংরক্ষণ নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাস্তুকার-সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রশাসনিক কর্তাদের রাখা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। বন দফতরের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে পুরোটা দেখা হচ্ছে। দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তও হতে পারে।’’