লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এবং তার আগে-পরে নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৪৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে এফআইআরও করে পুলিশ। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সিংহের এজলাসে।
শুভেন্দুর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এতগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক জন ব্যক্তিই ৩৪টি অভিযোগ করেছেন! তার ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের হয়।’’ গত ৪ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ওই এফআইআরগুলি করা হয়েছে বলে জানান মামলাকারীর আইনজীবীরা। এর নেপথ্যে চক্রান্ত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের আর্জি, ওই সব এফআইআরের তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক।
অন্য দিকে, এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে দেওয়া হোক। অপরাধ হয়েছে কি না, তা তদন্তে উঠে আসুক। রাজ্যের এজি মৌখিক ভাবে আদালতে জানান, মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে না। সব পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিচারপতি সিংহ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। সেই সঙ্গে এজির আশ্বাসের ভিত্তিতে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, এখনই এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।