সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফের বাংলা থেকে ধরা পড়ল এক জঙ্গি! বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। আগে ধৃত হাবিবুল্লাকে জেরা করে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
সোমবার রাতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল হানা দেয় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় (Gaighata)। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় হারেজ শেখকে। ধৃতকে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কে এই হারেজ শেখ? এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে নবদ্বীপের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা। কী করে হারেজ? তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন পুলিশ কর্তারা। অভিযুক্ত দফায় দফায় নিজের পেশা নিয়ে নতুন তথ্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়ান্দাদের। কখনও বলেছে, সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। কখনও বলছে দর্জি, কখনও পাইপলাইনের কাজ করে বলে জানাচ্ছে।
বছর সাতাশের হারেজ আবার কখনও নিজেকে নবদ্বীপ কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র বলেও দাবি করে এসটিএফের কাছে। নবদ্বীপে সে একাই থাকতো বলে দাবি করেছে হারেজ। কখনও বাবা, মা আসতেন। তবে প্রাথমিক জেরায় হারেজের দেওয়া বয়ানকে সঠিক বলে মানছে না এসটিএফ।
‘আল কায়দা’র মতাদর্শে বিশ্বাসী ‘আনসার আল ইসলাম’কে জঙ্গি সংগঠনকে ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। তারপরেই ওই সংগঠনই ‘শাহাদাত’ নামের একটি গ্রুপ মোবাইলে খোলে। ধৃত হারেজের প্রায়ই বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল বলেও এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর, পেয়ে সোমবার দুপুরে ট্রেনে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ(STF)।
মঙ্গলবার ধৃত হারেজ শেখকে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তখনই এসটিএফ (STF) দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলকে আবেদন করেন যে ধৃতকে তদন্তের স্বার্থে জম্মু কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরেই বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত শনিবার, কাঁকসার মীরেপাড়া থেকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হয় বছর একুশের মহম্মদ হাবিবুল্লাহ নামের জঙ্গি। মহম্মদ হাবিবুল্লাহকে জেরা করে ‘শাহাদাত’ গ্রুপের আরও এক সদস্য হারেজ শেখের খোঁজ পায় এসটিএফ।