হুমকি ফোনের পর বাইকে ধাওয়া! আতঙ্কে বিরিয়ানির দোকান মালিকের পরিবার
এই সময় | ২৬ জুন ২০২৪
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বিখ্যাত বিরিয়ানি বিক্রেতা ডি বাপির (বাপি দাস) ছেলে অনির্বাণ দাসকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ। পাশাপাশি ফলোও করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যেই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান হয়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে ব্যবসায়ীর গোটা পরিবার। পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবিও জানান হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।ঠিক কী অভিযোগ?এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ জানাচ্ছেন, গত সোমবার দোকানে ব্যবসা সামলে রাত্রি সাড়ে বারোটা-একটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় ২টি বাইকে ৪ জন তাঁকে অনুসরণ করতে থাকে। একইসঙ্গে একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা তোলাও দাবি করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় হোয়াটসঅ্যাপ কল করে হুমকি দিয়ে তোলা দাবি করা হচ্ছে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
অনির্বাণের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা করার নির্দেশও দেওয়া হত। এমনকী ব্যারাকপুর আদালতে যখন আসামিদের নিয়ে আসা হয়, সেখান থেকেও তাঁকে যেতে বলা হয়েছিল বলে দাবি অনির্বাণের। এই সংক্রান্ত বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন তিনি। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানান অনির্বাণ দাস। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
অতীতে চলেছে গুলি
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে ব্যারাকপুরের ডি বাপির একটি দোকানে গুলি চলার ঘটনা ঘটে। ব্যারাকপুর-বারাসাত রোডের ধারে ওই দোকানে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। বাইকে চেপে এসে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় বিরিয়ানি দোকানের এক কর্মচারী ও এক ক্রেতা আহত হন।
সেই ঘটনার পর বাপি দাস পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে তাঁর মোবাইলে একটি হুমকি ফোন এবং মেসেজ আসে। সেই সূত্র ধরেই সেই সময় দমদম জেলে থাকা এক বন্দির নাম উঠে আসে। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে জেলে বসেই এই গুলি চালানোর 'সুপারি' দেওয়া হয়। ওই বন্দির নির্দেশ মতোই তিন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে দোকানের সামনে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সেই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার ব্যবসায়ীমহলে সেই সময় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। আর এবার তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হল বাপি দাসের ছেলেকে। ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন অনির্বাণ দাস।