• ব্রাহ্মণী সেতুতে ভয়াবহ ফাটল দেখা গেল, পুনর্নির্মাণের প্রস্তাব এনএইচএ’‌র কাছে‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুন ২০২৪
  • ভয়াবহ ফাটল দেখা দিল ব্রাহ্মণী সেতুর রাস্তার একাংশে। এটা ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নলহাটি থানার জগধারী গ্রাম এলাকা দিয়ে গিয়েছে। এখান দিয়ে বহু যানবাহন এবং মানুষের যাতায়াত রয়েছে। এই ফাটলের উপর দিয়ে যদি বারবার যাতায়াত করা হয় তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই মঙ্গলবার থেকে সেতুর উপরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ‌ এই সেতুর ভেঙে পড়া অংশ মেরামত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও এনএইচএ মনে করছেন, ব্রাহ্মণী সেতুটি পুর্ননির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তেমনই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্থানীয় স্তর থেকে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্রাহ্মণী নদীর উপর দিয়ে গিয়েছে। তাই তার সংলগ্ন সেতুটির নাম ব্রাহ্মণী সেতু। এই সেতু আগেও একাধিকবার খারাপ হয়ে পড়েছিল এবং মেরামত করতে হয়েছিল। কয়েক বছর আগে ব্রাহ্মণী সেতুর একপাশের রেলিং ও ফুটপাতের একাংশ ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছিল। তখনও ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়েছিল। সুতরাং বারবার মেরামতের ফলে এই ব্রাহ্মণী সেতু আগের থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ এই ব্রাহ্মণী সেতুর উপরের রাস্তায় একাধিকবার বিটুমিনের প্রলেপ পড়েছে। তেমন বড় কোনও সংস্কার হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে ব্রাহ্মণী সেতু ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়তে পারে। তাই পুনর্নিমাণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


    এবার ব্রাহ্মণী সেতুর উপরে প্রায় এক মিটার অংশে বড় ফাটল দেখা গিয়েছে। তাই সেটা দেখতে ঘটনাস্থলে আসে নলহাটি থানার পুলিশ। আর ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। এখন রাস্তার এক পাশ দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই যানজট তৈরি হচ্ছে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘এই সেতুর উপর দিয়ে এখন গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। কারণ গাড়ি গেলে ব্রাহ্মণী সেতুটি কাঁপতে থাকে।’ এনএইচএ’‌র বাস্তুকার বাস্তুকার জয়ন্ত গড়াই বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণী সেতুর ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এই সেতুর পুর্ননির্মাণের প্রয়োজন। আগে এই সেতুর উপর দিয়ে ৫–১০ টনের গাড়ি যেত। এখন ৩০ টনের বেশি ওজনের গাড়ি যাতায়াত করে।’

    এমনিতেই সমস্ত সেতুর পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে রাজ্যজুড়ে। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর বেশি জোর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু ব্রাহ্মণী সেতুটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশানাল হাইওয়ে অথরিটির অন্তর্গত। তাই তাঁদের দাবি, ব্রাহ্মণী সেতুর পাশাপাশি ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে থাকা ১৩টি পুরনো সেতু দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সেতুগুলির সংস্কার করে লাভ হবে না। কারণ গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই সেতুগুলিতে চার লেনের হওয়া দরকার। আর নতুন করে নির্মাণ করা দরকার। এই মর্মে মন্ত্রকের কাছে ডিপিআর পাঠানো আছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)