• বাড়ল না কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ, হাইকোর্ট শান্তিরক্ষার দায়িত্ব দিল রাজ্যকেই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুন ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে ফলাফল বেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে গিয়েছিল বাংলায়। কারণ বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল ভোট পরবর্তী হিংসার। এমনকী তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছিল। তাই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ আর বাড়াল না কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বুধবার এই বিষয়ে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্য সরকারকেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। যদি রাজ্য ব্যর্থ হয় তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন–সহ সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    এদিকে আজ, বুধবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এই নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এখন সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকারই। যদি রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয় তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন–সহ সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুনানিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সময়সীমা পাঁচদিন বাড়ানো হয়েছিল। বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হলে তা আর বৃদ্ধি করল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।


    অন্যদিকে গত ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। তখন বলা হয়, ২১ জুন পর্যন্ত বাংলায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা হয়। ২৬ জুন পর্যন্ত প্রত্যেক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বুধবার সেটা আর বাড়ল না। সুতরাং বাংলা থেকে এখন পাততাড়ি গোটাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আর সক্রিয় হতে হবে পুলিশকে।

    এছাড়া বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ বৃদ্ধি না করার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট আরও কিছু নির্দেশ দিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে সেটা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’‌সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় থাকায় পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছিল। কারণ স্কুলে থাকছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। একাধিক জায়গার স্কুলগুলিতেই বাহিনীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)