সুতপা সেন: রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবার লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গ! ভালো ফলের জন্য স্রেফ প্রশংসা নয়, নেতা-মন্ত্রীদের জনসংযোগ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূ্ত্রের খবর তেমনই।
এক্সিট পোলের হিসেব মেলেনি। লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২ আসনে মধ্যে ২৯টিতেই জিতেছে তৃণমূল। বিজেপির হাত থেকে বেশ কয়েকটি আসন ছিনিয়েও নিয়েছেন তারা। যেমন, কোচবিহার। এদিন কোচবিহারে ভালো ফলের জন্য মন্ত্রী উদয়ন গুহের প্রশংসা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। সঙ্গে সতর্কবার্তা, 'মানুষের পাশে থাকতে না পারলে, মানুষ পাশে থাকবে না'। নেতা-মন্ত্রীদের নির্দেশ, 'যেখানে ফল খারাপ হয়েছে, সেখানে মানুষের পাশে থাকতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে'।
গতবার লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটি বিজেপির দখলে। যিনি জিতেছিলেন, সেই নিশীথ প্রামাণিক মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েছিল। কিন্তু কোচবিহারে অমিত শাহের 'ডেপুটি'কে এবার হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। লড়াইটা অবশ্য সহজ ছিল না একেবারেই।
ভোটের ফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে কোচবিহারে গিয়েছিলেন। দেখা করেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ অনন্ত মহারাজের সঙ্গে। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৈঠক হয়। তাহলে এবার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? অনন্ত বলেন, 'আমার কি মতি মরে গিয়েছে! আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। আমি না তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, না মুখ্য়মন্ত্রী মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। সৌজন্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল'। সঙ্গে দাবি, 'রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি'।