শপথ হোক বিধানসভাতেই, ধরনার পর রাজ্যপালকে চিঠি সায়ন্তিকাদের, সংসদেও সরব হবে তৃণমূল
প্রতিদিন | ২৭ জুন ২০২৪
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভা উপনির্বাচনে বরাহনগর ও ভগবানগোলা থেকে জিতে আসা তৃণমূলের দুই প্রার্থীর শপথে বাড়ছে জটিলতা। সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হয় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও। তিনি দুই পক্ষের সমস্ত চিঠি খতিয়ে দেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে রাজ্যপালকে ফের চিঠি দিয়েছেন দুই জয়ী বিধায়ক। এই ইস্যুতে তৃণমূল সংসদেও সবর হবে বলে সূত্রের খবর।
বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) রাজভবনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলে চিঠি দেন। কিন্তু বিধানসভাতেই শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তাঁরা। ‘শপথবাক্য পাঠ করার জন্য রাজ্যপালের অপেক্ষায় রয়েছি’-এই প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন শপথ না নেওয়ায় আইনি দিক খতিয়ে দেখবে রাজভবন।
উপনির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীর শপথ কোথায় হবে, সেটা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ঝুলেই রয়েছে দুই বিধায়কদের শপথ। এদিন বিধানসভায় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনমন্ত্রী এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামিকাল আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যপাল কী করতে চাইছেন বুঝতে পারছি না। লোকসভা নির্বাচনের পরও প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনে শপথপাঠ করেছেন। আমি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। দরকার পরলে বিষয়টি রাষ্ট্রপতিরও নজরে আনব।” পাশাপাশি ড. আম্বেদকরের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, উপনির্বাচনে জয়ী সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানোর কথা বিধানসভার স্পিকারের।
এদিন বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বেরিয়ে যাওয়া পথে বরাহনগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বলেন, “সারাদিন এখানে অপেক্ষা করেছি। রাজ্যপাল আসেননি। ফের তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছি। দেখা যাক উত্তর আসে কিনা। কালকে ফের ধরনায় বসব আমরা।” বৃহস্পতিবার বিধানসভা চত্বরে ড. আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দুই বিধায়ক ফের ধরনায় বসবেন।
যদি এই দুই বিধায়ক শপথ না নেন তাহলে কী হবে? স্পিকার জানিয়েছেন, শপথবাক্য পাঠ না করলে জয়ী সদস্যরা বিধানসভায় বসতে পারবেন না। তবে যে জায়গা থেকে তাঁরা জিতে এসেছেন সেই বিধানসভার আসনের মানুষের কাজ তাঁরা করতে পারবেন।