শনিবার তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মুখ ঢাকা থাকায় তাদের প্রথমে চিহ্নিত করতে পারেননি প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুলিতে আহত হন বি সন্তোষ নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘ওই ঘটনার খবর পাওয়ার পরে সিসিটিভি ফুটেজ় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ‘লোকাল সোর্স’কে কাজে লাগিয়ে সাত ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। তা ছাড়া আরও ১১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে।’’ অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জেলায় কোনও ভাবে কোনও রকম অপরাধমূলক কাজকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। এই জেলার প্রতিটি থানার ওসি, আইসিদের সেই ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজুর পাশাপাশি অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত ভিকি এবং উত্তমকে বুধবারই হাজির করানো হয় খড়গপুর মহকুমা আদালতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই ঘটনার সূত্রপাত। টাকা ভাগাভাগি নিয়েই গন্ডগোল। তার থেকেই গুলি চলেছে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ সব বিষয় খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম তৃণমূল কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।’’