যাদবপুর-পাটুলি এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল এবং ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বরকে শোকজ় করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ, ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়েছিল। মঙ্গলবারই শোকজ়ের জবাব বক্সীর ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন স্বরাজ। তারকেশ্বরের জবাব পাঠানো বাকি ছিল। তিনি পুরীতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বুধবার রাতে তিনিও নিজের জবাব পাঠিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে।
শোকজ়ের জবাব দিয়েছেন, এ কথা স্বীকার করেছেন তারকেশ্বর। কিন্তু চিঠিতে কী লিখেছেন, তা প্রকাশ্যে জানাতে চাননি তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, তারকেশ্বর দলকে জানিয়েছেন, যে সময়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলা হচ্ছে, সে সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, শোকজ়ের জবাবে তারকেশ্বর জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে অভিযোগ করায় রাগে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, শোকজ়ের জবাবে কাউন্সিলর স্বরাজ সে দিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে দায়ী করেছেন তারকেশ্বরকেই। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব স্বরাজের জবাবে সন্তুষ্ট কি না, তা জানা যায়নি। তবে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই এ বিষয়ে দল তার অবস্থান জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শহর কলকাতায় কাউন্সিলরদের এ ভাবে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ভাল চোখে দেখছেন না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। যে হেতু ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনেই কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর, তাই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনার পরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে ওই সূত্রের দাবি। এখন দেখার দু’জনের জবাব পাওয়ার পর দল কী পদক্ষেপ করে।