বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, সক্রিয় হচ্ছে মৌসুমী বায়ু, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কবে?
এই সময় | ২৭ জুন ২০২৪
দক্ষিণবঙ্গে চলছে বৃষ্টির ঘাটতি। কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা নেই। কার্যত চাতকের মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় মানুষ। অবশেষে স্বস্তির বার্তা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার বিকেলের পর থেকে সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু। ভারী বর্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। আরও শক্তিশালী হবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত, শুক্রবারের মধ্যে যা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দক্ষিণের দুর্বল মৌসুমী বায়ু আরও সক্রিয় হবে। তারপর আগামী শনিবার থেকে তিন চার দিনে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে প্রবেশ করবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শনিবার থেকে টানা চারদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি বাড়তে পার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সঙ্গে দেখা যেতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ। দক্ষিণের প্রতিটি জেলার প্রায় সমস্ত অঞ্চলই বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে। তার আগে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে দক্ষিণের জেলায় জেলায়। সঙ্গে বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গজুড়ে চলবে বৃষ্টি। প্রায় সব জেলার বেশিরভাগ অংশেই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিছু জায়গায় তো ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
হাওয়া অফিস বলছে, শহর কলকাতায় সকালের দিকে রোদের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আনাগোনা দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার কলকাতাকে ভোগাতে পারে জলীয় বাষ্প। ভোটের দিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পর উপস্থিত ৫৪ শতাংশ। বেলা বাড়লে যা পৌঁছতে পারে ৮৭ শতাংশে। বিকেলের দিকে তা আরও বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সময় যত গড়বে ততই বাড়তে অস্বস্তি। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৪ ডিগ্রি বেশি।
এদিকে উত্তরবঙ্গে সকালের দিকে কোনও কোনও জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে বিকেলের পর প্রবল বৃষ্টির দাপট কিছুটা হলেও কমবে। এর মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। অন্যদিকে মালদা, ও দুই দিনাজপুরে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত।