• দখলদার উচ্ছেদের মাঝেই আজ ফের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, জরুরি তলব প্রশাসনিক কর্তাদের
    আজ তক | ২৭ জুন ২০২৪
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পরই মঙ্গলবার থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন। কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও সিউড়ি, হাওড়া, নিউটাউন, যদুবাবুর বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি হকারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সোমবারের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নবান্ন সভাঘরে আজ ফের  জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তা ও পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে আজ এই বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যআয়।

    প্রসঙ্গত সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে ফুটপাথ দখল করে বেআইনি ব্যবসা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার থেকেই তৎপর হয়েছিল পুলিশ। বুধবার  তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়  বুলডোজার নিয়ে হানা দেয় প্রশাসন। যেসব জায়গায় অবৈধ কাঠামো গড়ে উঠেছে সেই সব দোকান পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যে সব জায়গায় কাঠামো না করেই ব্যবসা চলছিল, সেই সব জায়গা থেকে পণ্য সামগ্রী দ্রুত সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন বেআইনি সামগ্রীও আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও রকম সময় না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করায় সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের। 

    বেদখল হয়ে যাওয়া জমি দখলমুক্ত করতে তৎপর হয়েছে পুরসভাগুলি। আর তা নিয়েই এ বার নতুন করে বৈঠক ডেকেছেম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন সভাঘরের ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের আমলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনার এবং কর্তাদের। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দখলদার উচ্ছেদ অভিযান কী ভাবে চলছে, তাতে কোনও বদল ঘটাতে হবে কি না, সে সব নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। আলোচনা হতে পারে উচ্ছেদ অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও।

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হকার উচ্ছেদ অভিযান কেমন করে চলছে, সেখানে কোনও বদল ঘটাতে হবে কি না, সবটা নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে আজকের  বৈঠকে।  আগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‌আমার কথা তিক্ত লাগবে। কিন্তু আমি বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি গোটা বিষয়টা। কোথাও কোন দখলদার হলে, সঙ্গে সঙ্গে কেন অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে না? কেউ কেউ টাকা খেয়ে কাজ করছে।’‌ ওই বৈঠকে রাজ্যের পুরসভার পরিষেবা নিয়ে রণংদেহী মেজাজ দেখান তিনি। রাজ্যের নানা পুরসভা এলাকায় পানীয় জল, আবাসন, পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে জবরদখল করে অস্থায়ী দোকান খোলা নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • Link to this news (আজ তক)