• 'হাউস ফর অল' ২৯ হাজার পরিবারকে, উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী
    এই সময় | ২৭ জুন ২০২৪
  • মহম্মদ মহসিন, উলুবেড়িয়া

    সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বেশির ভাগ পুরসভা নিয়েই বকাবকি করেছেন, সেখানে ব্যতিক্রম উলুবেড়িয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যে কাজ উলুবেড়িয়া করতে পেরেছে তা অন্য পুরসভা কেন পারবে না? উল্লেখ্য, হাউস ফর অল প্রকল্পে ২৮ হাজার ৯০৬ জন ঘর পেয়েছেন উলুবেড়িয়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরাজ সার্টিফিকেট ফিয়ে দৃশ্যতই খুশি পুরপ্রধান অভয় দাস। তিনি বলেন, ‘পুরসভার কাজে আরও বেশি তৎপর হব আমরা।'হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজ ২০১৫-২০১৬ সাল নাগাদ শুরু হয়েছিল উলুবেড়িয়ায়। উপ পুরপ্রধান ইনামুল রহমান বলেন, ‘এই প্রকল্প কাজ চলাকালীন আমরা টানা নজরদারি চালিয়েছি। ঠিকঠাক কাজ এগোচ্ছে কি না, তা দেখাশোনা করেছি। পুরপ্রধান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল, কাউন্সিলাররা মিলে পুরসভায় বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করেছি।’

    এই প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন বাহির গঙ্গারামপুরের সিরাজুল মল্লিক। তিনি পেশায় জরিশিল্পী। সিরাজুল বলেন, ‘আমাদের মাটির বাড়ি ছিল। সেই বাড়িতেই পরিবার নিয়ে থাকতাম। ছেলে দু’টিও ছোট। কোনও দিন পাকা বাড়ি পাব ভাবতেই পারিনি। হাউস ফর অল প্রকল্পে বাড়ি পেলাম।’

    জানা গিয়েছে, ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা করে গ্রাহক পিছু বরাদ্দ ছিল। এই প্রকল্পে কেন্দ্র, রাজ্য, পুরসভা এবং উপভোক্তা নির্দিষ্ট টাকা দেন। সোমবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পে উলুবেড়িয়া পুরসভা ভালো কাজ করেছে। তা ছাড়া এলাকার মানুষ জলও পেয়েছেন নিয়মিত। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ছিল প্রশাংসা।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল নাগাদ জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হয়। এখন এলাকায় ৭৪ হাজার ৪০০ বাড়িতে পুরসভা জলের সংযোগ দিয়েছে। তবে বাউড়িয়া, চেঙ্গাইল-সহ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল নিয়ে সমস্যা রয়েছে। পুরসভার জল বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল আকবর শেখ বলেন, ‘ওইসব এলাকায় জলের গতি কম ছিল। কেএমডিএর অমৃত প্রকল্পে ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভা দুটি ভূগর্ভস্থ জলাধার এবং তিনটি উচ্চ জলাধার তৈরি করছে। এর ফলে ওইসব এলাকায় জলের সমস্যা আর থাকবে না।’

    পুরসভা থেকে জল নেয় রেলও। কিন্তু রেল টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ। পুরপ্রধান অভয় বলেন, ‘উলুবেড়িয়া পুরসভা থেকে উলুবেড়িয়া, ফুলেশ্বর, চেঙ্গাইল, বাউড়িয়া স্টেশনে জল সরবরাহ করা হয়। প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা পাই। রেলকে বারবার চিঠি দিয়েও টাকা পাইনি। শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও টাকা পাইনি।’
  • Link to this news (এই সময়)