বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বুধবার রাতে জানিয়েছেন, ১৯ মে বাংলাদেশে ফেরার পরেই আত্মগোপন করেছিল সাংসদ আজিমকে খুনের ঘটনায় আগাগোড়া সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। পুলিশের চোখ এড়াতে খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ের কালীমন্দিরে ভক্ত সেজে তারা গত ২৩ দিন থেকেছে। ফয়সাল নাম নিয়েছিল শিমুল রায় এবং মোস্তাফিজ পলাশ রায়। দুর্গম পাহাড়ে হঠাৎ দুই কালীভক্তের আগমনের খবর গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছনোর পরে তাঁদের সূত্র নিশ্চিত করে, এরাই সম্ভবত দুই ফেরার খুনি। বুধবার সকাল থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল পাহাড় ঘিরে ধরে কালীমন্দিরের দিকে এগোতে থাকে। অবশেষে বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। হারুন জানান, প্রধান দলটি পাহাড়ের রাস্তা ধরে উঠতে শুরু করার পরে বাকিরা হেলিকপ্টারে গিয়ে পাহাড়ে গায়ে নানা জায়গায় নামেন। পালানোর সব পথ বন্ধ করে তার পরে কালীমন্দিরে হাজির হয় পুলিশের প্রধান দলটি।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান জানান, মোস্তাফিজ এবং ফয়সাল ঝিনাইদহে প্রধান ভাড়াটে খুনি শিমুল ভুঁইয়ারই প্রতিবেশী। শিমুলকে খুনে সাহায্য করতে তারা কলকাতায় গিয়েছিল। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে সাংসদ আজিমের নাকে ক্লোরোফর্ম চেপে তাকে অজ্ঞান করেছিল ফয়সাল। মোস্তাফিজ তার আগে তাকে চেয়ারে বেঁধে ফেলেছিল। সাংসদকে ওই ফ্ল্যাটে তুলে আনা এবং তার দেহাংশ লোপাটেও এই দু’জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আগে ধরা পড়া অভিযুক্তরা জানিয়েছে। হারুনের আশা, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ ধরা পড়ার পরে এই হত্যারহস্যের জট খোলা আরও সহজ হবে।