ধৃতেরা যে তৃণমূল কর্মী, মেনে নিয়েছেন দ্বারিকা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অজয় রায়। যদিও তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। তৃণমূলের ছত্রছায়াতেই ওই শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখার। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে চাননি। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, ‘‘শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতির উপরে পুলিশ ও প্রশাসন যৌথ ভাবে নজর রাখছে। কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’’
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে চালু হওয়া দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল এখন কার্যত ধুঁকছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি কারখানা কিনে পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগী হয়েছে অন্য একটি ফেরো অ্যালয় সংস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কারখানার কিছু বর্জ্য দু’টি ডাম্পারে অন্যত্র বিক্রি করতে পাঠানো হচ্ছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ১০-১২ জন রড, লাঠি নিয়ে ডাম্পার দু’টি আটকে দেয়। তার পর চালকদের মারধর করে এবং জানায়, ৩০ হাজার টাকা না দিলে নড়তে দেবে না। তখন এক চালক ১৪ হাজার টাকা দেন। এর মধ্যে কোনওক্রমে এক চালক পালিয়ে এসে কারখানায় খবর দেন। কারখানার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও ওই দুষ্কৃতীরা গাড়ি ছাড়তে চায়নি।
পুলিশ গিয়ে ডাম্পারগুলি ছাড়ায় ও তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত শেখ ধরসাদ, শেখ ইসলাম ও শেখ আমির দ্বারিকার বাসিন্দা। এই ধরনের ঘটনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া হতে নির্দেশ দেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার এ দিন বলেন, “পুলিশ হাতেনাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ” শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজার অবশ্য বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নেব।’’