মৌমিতা চক্রবর্তী: লোকসভা ভোটে আশানুরুপ ফল করতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি এরকম ফল হাওয়ারই কথা ছিল। এরকম এক পরিস্থিতিতে জেলা সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছে বিজেপি। দলের সূত্রে খবর, পুজোর মধ্যেই বদল হতে পারে রাজ্যের ১৫ জেলার সভাপতি।
যে টার্গেট বিজেপি করেছিল তার ধারেকাছে যেতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। বরং ফল অনেক খারাপ হয়েছে। গতবার ছিল ১৮ সাংসদ। সেই সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২। ফলে চাপ এসে পড়েছে রাজ্য নেতাদের উপরে। ভোটের পর বিভিন্ন দফায় রাজ্য বিজেপির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের নিট ফল হল কমপক্ষে ১৫ জেলার খোলনলচে বদলাতে চলেছে বিজেপি। জেলা সভাপতি বদল করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র জেলা সভাপতিই নয়, মণ্ডল সভাপতিও বদলে দেওয়া হতে পারে। শাস্তির কোপ পড়তে পারে বিভিন্ন মোর্চার দায়িত্বে থাকা নেতাদের উপরেও।
বিজেপি সূত্রে খবর, সিংহভাগ বুথের খোলনোলচে বদলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। জেলা স্তরের একেবারে নিম্নস্তরে থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। এমাসেই সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠনো হবে।
জেলাওয়াড়ি রিপোর্টে কী উঠে আসছে? জানা যাচ্ছে জেলায় অনেক পুরনো কার্যকর্তাকে ভোটের কাজে লাগানো হয়নি। তিনশোর বেশি মণ্ডল সভাপতি বদল করা হতে পারে। আগস্টের আগে রাজ্য সভাপতি বদল হচ্ছে না। বুথ ভিত্তিক সংগঠন যে ফোঁপরা তার রিপোর্ট জমা পড়়েছে। ভোটের আগে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল তাতে জানানো হয় খুব ভালো রেজাল্ট করতে চলেছে দল। সেই রিপোর্টও ছিল ফাঁকা আওয়াজ। ভোটের রেজাল্টই তা প্রমাণ করে। বাড়ি বাড়ি প্রচারে ক্ষেত্রেও অনেকটাই সমন্বয়ের অভাব ছিল। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি দলকের কর্মকর্তারা। ম্যান টু ম্যান যোগাযোগ করা যায়নি। সূত্রের খবর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলার খোলনলচে বদলে যেতে পারে।