রামপুরহাট শহরে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। রামপুরহাট পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে রামপুরহাট থানার আইসি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল কাউন্সিলরকে। সঞ্জীব মল্লিক রামপুরহাট পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট কাউন্সিলর। রামপুর থানার আইসির নাম সুকমল ঘোষ। পাশাপাশি উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায় এলাকার সাধারণ মানুষরাও। তাদের দাবি যে, সময় দেওয়া উচিত ছিল তার পাশাপাশি যেন গোটা শহরে এভাবেই হকার উচ্ছেদ করা হয়। এরপরেই সাধারণ মানুষের সেই কথা যখন কাউন্সিলর বলতে যাই পুলিস প্রশাসনকে। তখনই রামপুরহাট থানার আইসি এই বাম কাউন্সিলরকে ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ।
বীরভূমের সিউড়ি পৌরসভার পরে রামপুরহাটে ফুড পার্ক জবরদখল উচ্ছেদে নামল স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে থেকে রামপুরহাট পৌরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে অভি এই উচ্ছেদ চালানো হয় উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে, রামপুরহাট পৌরসভার পৌরপিতা সৌমেন ভকত এবং রামপুরহাট থানার আইসি-সহ বিশাল পুলিস বাহিনী।
রিষড়া পুরসভা এলাকায় ফুটপাথ দখল করে থাকা দোকান উচ্ছেদ অভিযান। রিষড়া থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে রিষড়া পুরসভার। এদিন সকালে প্রথমে মাইকিং করা হয়। সমস্ত অস্থায়ী দোকান যারা পুরসভার জায়গা দখল করে ছিল অথবা ফুটপাথ দখল পরে বসে আছে স্থায়ী ব্যবস্থা করে তাদের সাত দিন সময় দেওয়া হয়। দোকান সরিয়ে নিতে হবে নয়ত পুরসভা জেসিবি দিয়ে ভেঙে সরিয়ে দেবে। রাস্তার উপর চলে আসা অস্থায়ী ছাউনি প্লাস্টিকের শেড খুলে ফেলা হয়। রিষড়া মৈত্রী পথ,স্টেশন রোড,আর বি সি রোড, এনএস রোড এলাকায় চলে অভিযান। রিষড়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই অভিযান চলবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর অতি সক্রিয় মালবাজার পৌরসভা। যে সব ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে এবং যেসব ব্যাবসায়ী সরকারি জায়গা দখল করে ব্যাবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া হতে চলেছে মালবাজার পুরসভা। বুধবার সন্ধ্যায় মালবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পৌরসভার উদ্যোগে মাইকিং করা হয়। বলা হয়, যে সব ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে তারা যেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে, ফুটপাত খালি করে দেয়। তানা হলে পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভা উচ্ছেদ অভিযানে নামবে। জানা গেছে মালবাজার এলাকায় বহু ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের চলে ফেরা সমস্যা হচ্ছে। গাড়ি চলাচলের সমস্যা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিও তমলুক শহরে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পৌরসভা পুলিস প্রশাসনের তৎপরতা শুরু। সমস্ত এলাকায় প্রশাসন ঘুরে ঘুরে সকলকে নিজের থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে না তুলে নিলে প্রশাসন সেই সমস্ত দখলদারদের উচ্ছেদ করবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহর। কাঁথি হাসপাতাল, আউটডোর, কাঁথি মহকুমা শাসকের দপ্তর, কাঁথি আদালত চত্বর, মৎস্য দফতর, এবং শহরের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে প্রত্যেকটি জায়গায় রাস্তার পাশে অবৈধ গুমটি ও দোকানে ভরে গেছে। প্রত্যেককে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি তমলুক শহরেই রয়েছে মেডিকেল কলেজ। তমলুক তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকার শহর সহ হাসপাতাল মোড়, নিমতলা মোড়, মানিকতলা মোড়-সহ একাধিক এলাকায় ফুটপাত দখল করে দিনের পর দিন ব্যবসা করছে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী বৈঠকের পর তমলুক মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার, তমলুক মহাকুমা পুলিস আধিকারিক আবজল এবরার, তমলুক থানার একাধিক পুলিস আধিকারিক-সহ তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়, উপ পৌরপ্রধান লীনা মাভই রায়-সহ একাধিক কাউন্সিলররা ফুটপাতে বসে থাকা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন এবং উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার ফুটপাতের উপর বসে অবৈধ ব্যবসাদারদের উচ্ছেদ করেছে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা। তা সত্ত্বেও বারে বার কাদের মদতে সরকারি ফুটপাতে ব্যবসা করছে এখন সেটাই প্রশ্ন।