গৌতম ব্রহ্ম: বিধাননগর পুরনিগমে ইচ্ছেমতো অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ থেকে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। দিন দুই আগেই মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন দমকল মন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। আর বৃহস্পতিবার হকার উচ্ছেদ নিয়ে বৈঠকে সেই সুজিত বসুই মুখ্যমন্ত্রীর সুনজরে। কেষ্টপুর খাল সংস্কার ভালো কাজ বলে প্রশংসা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে অবশ্য খাল সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যায়নে রং নিয়ে মৃদু আপত্তিও তুললেন। বললেন, ”কালার কম্বিনেশন ভালো নয়। আমাদের রাজ্যের একটা রং আছে, আকাশি। যা তা রং করে দিলেই তো হল না।”
সোমবার নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে সরকারি জমির বেআইনি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের নাম ধরে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেন। হকা উচ্ছেদ নিয়ে কড়া বার্তা দেন। রাতারাতি উচ্ছেদ হওয়ার ভয় গ্রাস করে তাঁদের। এনিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ফের বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র হকারদের বিষয়টি নিয়েই বৈঠকের ডাক দেন। আগেরদিনের বৈঠকে বিধাননগরের বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কার ছিল, ”সুজিত যেখান সেখান থেকে লোক এনে পুরসভায় বসাচ্ছে। এত অস্থায়ী কর্মীর কী দরকার?” আর বৃহস্পতিবার সেই মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেই শোনা গেল সুজিত বসুর প্রশংসা।
এদিন বৈঠকের ফাঁকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ওই খালের কাজটা তোমরা ভালোই করেছো সুজিত। কী যেন নাম? কেষ্টপুর খাল। সেটা ভালো কাজ হয়েছে। কিন্তু তার চারপাশের ওই কালার কম্বিনেশনটা ঠিক…আমাদের রাজ্যের তো একটা নির্ধারিত রং আছে, আকাশি। সেটাই তো করা যেতে পারত। এত রং কেন হবে? বিশেষ করে কোনও দলের রং? আমি একদম পছন্দ করি না। দেখুন না, নতুন মেট্রো স্টেশনগুলোতে সব গেরুয়া রং করেছে। কেন?” অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ভিআইপির সৌন্দর্যায়নে কেষ্টপুর খালের সংস্কার কাজ মুখ্যমন্ত্রীর যতই পছন্দ হোক না কেন, রং নিয়ে আপত্তি থাকছেই। এলাকাবাসীর অধিকাংশের অবশ্য বক্তব্য, এলাকার বিধায়ক হিসেবে সুজিত বসু (Sujit Bose) কাজের মানুষ। প্রয়োজনীয় কাজকর্ম তিনি সবসময়েই করেন। তা সত্ত্বেও সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।