সাধুদের নিয়ে মন্তব্য, মমতার বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মামলা খারিজ হাইকোর্টে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুন ২০২৪
সাধুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ মিশন থেকে শুরু করে ভারত সেবাশ্রমের সাধু-সন্ন্যাসীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল রাজ্যের সাধু মহলে। পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেই মামলার নিষ্পত্তি করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের করা এই মামলাকে জনস্বার্থ মামলা বলে মনে হয়নি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। বৃহস্পতিবার বেঞ্চ জানায়, এটা যে জনস্বার্থ মামলা হলফনামা দেখে তা মনে হচ্ছে না। তবে মামলাকারী চাইলে অন্য ভাবে অভিযোগ করতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই মন্তব্যের ফলে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট হতে পারে সেরকম কিছু মনে হয়নি আদালতের। এরপরই মামলার নিষ্পত্তি করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন একটি জনসভা থেকে মমতা দাবি করেছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমের কয়েকজন সাধু সরাসরি রাজনীতি করছেন। আবার কার্তিক মহারাজের নাম নিয়েও তিনি তোপ দেগেছিলেন। মমতা বলেছিলেন, ‘বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না। সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছে।’
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেছিলেন, ‘কে কে এই সব করছে, আমি তাদের চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে কোন সাহায্যটা করিনি! সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সমর্থন করেছিলাম আপনাদের। সিপিএম কিন্তু তখন আপনাদের কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে, দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন সাধুরা এই কাজ করবেন? ’ এই মন্তব্যের পরেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধুরা। পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কয়েকজন সাধু কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলাটির নিষ্পত্তি হল।