'দাদাই আমাদের সবকিছু', আতঙ্কে ডি বাপি বিরিয়ানি-র কর্মীরাও
এই সময় | ২৮ জুন ২০২৪
দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে ডি বাপি বিরিয়ানি-র কর্ণধার অনির্বাণ দাস। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর। যার ফলে প্রভাব পড়ছে ব্যবসাতেও। শুধু কর্ণধারই নয়, আতঙ্কে রয়েছেন দোকানের প্রত্যেক কর্মী। সেই সমস্ত কর্মীদের সঙ্গেই কথা বলল এই সময় ডিজিটাল।দোকানে যেতে পারছেন না অনির্বাণ দাস। বাড়ি থেকেই চালাতে হচ্ছে ব্যবসা। পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে দোকান বন্ধ রাখতে হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন অনির্বাণ। একইভাবে কর্ণধারকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় কর্মীরাও। এই প্রসঙ্গে ডি বাপি বিরিয়ানি-র মধ্যমগ্রাম শাখার ম্যানেজার শামিম মণ্ডল বলেন, 'যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা সবাই আতঙ্কিত। এর প্রভাব ব্যবসাতেও পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। দোকানের বাইরে অচেনা কাউকে দেখলেই মনে সন্দেহ জাগছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, দাদার (অনির্বাণ দাস) নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।'
প্রীতম চক্রবর্তী নামে দোকানের অপর এক কর্মী বলেন, 'আগেও অনেকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের ঘটনাটা খুবই বড়। পুলিশ প্রশাসন সাহায্য করছে, কিন্তু দাদা ও তাঁর পরিবার খুবই আতঙ্কিত। আমরাও ভয়ে বেরোতে পারছি না। আমাদের উপরেও আক্রমণ করতে পারে। দাদাকে আমরা খুব ভালোবাসি, তিনিই আমাদের সবকিছু। তাই ওঁর সুরক্ষা আমাদের একান্ত কাম্য।'
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দোকানে ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় ডি বাপি বিরিয়ানি-র কর্ণধার অনির্বাণ দাসকে ২টি বাইকে ৪ জন ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। এমনকী এর আগে তাঁর কাছে ২০ লাখ টাকা তোলাও দাবি করা হয়। এই ঘটনার পরেই ব্যাপক আতঙ্কে অনির্বাণ দাস ও তাঁর গোটা পরিবার। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিন তিনি। এমনকী এই নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন অনির্বাণ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। উল্লেখ্যে, এর আগে ব্যারাকপুরে ডি বাপি বিরিয়ানি-র দোকানে গুলি চলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় দোকানের সামনে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ৩ দুষ্কৃতী। আর এবার দুষ্কৃতীদের 'টার্গেট' ডি বাপি বিরিয়ানি-র কর্ণধার অনির্বাণ দাস।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বেলঘরিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তাই একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও বাড়ছে আতঙ্ক।