কেন খুন হলেন দুর্গা?
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪৯ পাতার চার্জশিট এ বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্তারা।
(১) দুর্গা সরখেলের স্বামী ধরণীধর সরখেল রেলে চাকরি করতেন। তিনি তাঁর আয়ের বেশির ভাগ খরচটাই শ্বশুরবাড়িতে দিতেন। আর এইটা কোনও মতেই পছন্দ করত না মহিলার ভাসুর শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল।
(২) ছোট ভাই ধরণীধর একজন অবাঙালি মহিলাকে বিয়ে করেছিল, সেটা কখনই মেনে নিতে পারেনি শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল। মনের মধ্যে রাগ পুষে ছিল সে।
(৩) অভিযুক্ত শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল ভাল জায়গায় চাকরি করত। তার চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকেই সে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে।
(৪) অভিযুক্ত শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল একজন পণ্ডিত ছিল। তবে তান্ত্রিক হিসেবেও পরিচিত ছিল সে। তবে ওকে কেউ বলেছিল তোমার সব থেকে রাগ যার উপর তাঁকে বলি দাও।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসের ২ তারিখে ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার সত্য ডাক্তার রোডের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে কালো প্লাস্টিকের মধ্যে থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিস।পরে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে মহিলার নাম, দুর্গা সরখেল। ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার হেমচন্দ্র স্ট্রিটের বাসিন্দা। দুর্গার বাপের বাড়ি বিএনআরের কাছে নামাক মহল রোডে। এরপরই এই ঘটনায় দুর্গার ভাসুর শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেলকে গ্রেফতার করা হয়।
দুর্গার বাপের বাড়ির লোকজন বারংবার পুলিসের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, অভিযুক্ত শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল একজন তান্ত্রিক। পুলিসের চার্জশিটেও সেই বিষয়ে উঠে এল, এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তের জেল হেফাজত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।