চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তে প্রসূতির মৃত্যু, গঙ্গাসাগরের ঘটনায় তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন
প্রতিদিন | ২৮ জুন ২০২৪
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত গঙ্গাসাগর গ্রামীণ হাসপাতাল। চিকিৎসার গাফিলতিতে এই ঘটনা বলে অভিযোগ। মৃতার পরিবার হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তা সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার CMOH জানিয়েছেন, পাঁচজনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রসূতির মৃত্যুতে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবেই।
গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) চকফুলডুবি এলাকার গৃহবধূ রাজশ্রী প্রামাণিক দাস মঙ্গলবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন তিনি। অভিযোগ, প্রসবের পর মহিলা ও তাঁর সন্তান সুস্থই ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গৃহবধূর পরিবারকে তাঁর মৃত্যুসংবাদ জানায়। গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। চিকিৎসায় (Treatment) গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ (Agitation) শুরু করেন মৃত মহিলার আত্মীয়রা। ভুল চিকিৎসাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূতির, এমন অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, প্রসবের পর মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ ছিল। হঠাৎ কী এমন ঘটল যে সদ্যপ্রসবা মহিলার মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার আত্মীয়রা।
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ (CMOH) জয়ন্ত শুকুল জানিয়েছেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এমন ঘটার কথাও নয়। মৃতার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগও তিনি পেয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও অ্যানাস্থেসিস্ট-সহ পাঁচজনের একটি তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা শুক্রবার সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে সিজার করা মহিলার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে। গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তি হবে, আশ্বাস সিএমওএইচের।