সিঙ্গুরের দইয়ের খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে সিঙ্গুরের সেই দই চেটেপুটে খেয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সিঙ্গুরের দইয়ের স্বাদ এত ভালো কেন, নিজের মতো করে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন তিনি। আর রচনার সেই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনাও নেহাত কম হয়নি। তবে সত্যিই সিঙ্গুরের দইয়ের এই স্বাদের সিক্রেটটা কী, তা খোঁজ নিল এই সময় ডিজিটাল।এই বিষয়ে দই বিক্রেতা রবীন দে বলেন, 'ভালো দই তৈরির জন্য দুধটা খাঁটি হওয়া চাই। সঙ্গে চাই সঠিক পরিমান চিনি। অর্থাৎ দুধ ও চিনির অনুপাতটা ঠিক থাকতে হবে। দুধ খাঁটি না হলে দই ভালো হবে না।' তিনি আরও জানান, ভালো দই তৈরির করার জন্য দুধটাকে দীর্ঘ সময় ধরে ফোটাতে হয়। যদি ৫০ কেজি দুধ থাকে, তাহলে সেখান থেকে দই হবে ২৮ কেজি। তবেই বিষয়টা ক্ষিরের মতো হবে এবং আসবে জিভে জল আনা স্বাদ।'
সিঙ্গুরের দইয়ের চাহিদা ব্যাপক। আর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দইয়ের প্রচার ও প্রসারে আরও বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রঞ্জিত ঠাকুর নামে এক দই ব্যবসায়ী বলেন, 'গরমে দইয়ের চাহিদা বেশি থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি দই তৈরি হয়। আর রবিবার বা কোনও অনুষ্ঠানে ১০০ কেজির বেশিও দই হয়ে থাকে। এখানকার দইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়লে তা আরও ভালো হবে।'
শুধু স্থানীয়রা নয়, বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ দই কিনতে আসে সিঙ্গুরে। সুজিত কোলে নাম এক ক্রেতা বলেন, 'সিঙ্গুরের দই বারবরই খুব ভালো, কারণ এখানকার দুধও খুব ভালো। এখানে দই খুব ভালোভাবে তৈরি হয়। আমার বাড়ি নালিকুল। কিন্তু আমি সিঙ্গুরে দই নিতে এসেছি। নালিকুল থেকে সিঙ্গুরের মধ্যে অনেক মিষ্টির দোকান রয়েছে। কিন্তু বরাবরই আমি এখান থেকেই দই নিই।' প্রবীরকুমার হাজরা নামে আরও এক ক্রেতা বলেন, 'সিঙ্গুরের দইয়ের স্বাদ অত্যন্ত ভালো। তাই এখানকার দই আমাদের ভালো লাগে। আমার বাড়ি বারুইপাড়া। কিন্তু এখানে দই নিতে আসি। স্বাদ ভালো বলেই আসি।'
উল্লেখ্যে সিঙ্গুরের দুধ যে খুবই ভালো তা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার মধ্যে দিয়েও উঠে এসেছিল। আর অন্যান্য ক্রেতাদের মুখেও সেই দুধেরই প্রশংসা। আর সেই দুধ দিয়েই তৈরি হয় দই, যা বছরের পর বছর ধরে রসনাতৃপ্তি করছে ভোজনরসিকদের।