• দিঘার সৈকতে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে তদন্ত
    আনন্দবাজার | ২৮ জুন ২০২৪
  • সমুদ্র সৈকতে অবাধে চলছে মাটি কাটা এবং বহুতল নির্মাণের কাজ। মৎস্যজীবীদের মারফত এই অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক।

    কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কানাইচট্টা উপকূলে বেশ কিছুদিন ধরে বিধি না মেনে বহুতল নির্মাণের কাজ চলছে বলে অভিযোগ। সমুদ্রের চরে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং তার ঠিক পাশের অংশ ওই মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। তার উপরে শুরু হয়েছে বহুতল নির্মাণ কাজ।

    প্রশাসন সূত্রের খবর, কানাইচট্টা সমুদ্র সৈকত এমনিতেই সিআরজেড এলাকার অন্তর্ভুক্ত। সেখানে কোনওরকম নির্মাণ কাজ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করা আইনত অপরাধ। তা সত্ত্বেও কানাইচট্টা সমুদ্র সৈকতের ধারে একটি মন্দিরের পাশে জমি কিনেছেন এক বিনিয়োগকারী। তিনি সেখানে হোটেল নির্মাণ করছেন। তার জন্যই সমুদ্র চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা ব্লক প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্র সৈকত বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।

    কাঁথি মহকুমা খুঁটি মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সভাপতি দেবব্রত খুটিয়া বলছেন,"সমুদ্রচরের যে অংশ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে তার পাশে একটি খাল রয়েছে। সেখানে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা নৌকা বেঁধে রাখেন এবং মাছ শুকনো করেন। সেখানে বেআইনি নির্মাণ কাজ হলে মৎস্যজীবীদের জীবিকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।"

    উল্লেখ্য, দিন দু’য়েক আগেই বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও শুধুকানাই চট্টা নয়, মন্দারমনি, তাজপুরের সমুদ্র সৈকতেও নিয়ম না মেনে দেদার বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর কানাইচট্টা সৈকতে বেআইনি নির্মাণ তদন্ত করে দেখার জন্য দেশপ্রাণ ব্লকের ভূমি আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর। কাঁথির মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন,"উপকূলের কোথাও বেআইনি নির্মাণকে বরদাস্ত করা হবে না। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা অবৈধ হোটেলগুলিকে শো কজ করেছি। কানাইচট্টার ক্ষেত্রেও আইনানুগ পদক্ষেপ করা হচ্ছে।"

  • Link to this news (আনন্দবাজার)